Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কৃষক আন্দোলনে এখনও ষড়যন্ত্র দেখছেন মোদি


১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৪০

ভারতের তিনটি কৃষি সংস্কার আইন বাতিলসহ আরও কয়েকটি দাবিতে চলমান কৃষক আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে আবার অভিযোগ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর পিটিআই।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) গুজরাটের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি এ কথা বলেন।

নরেন্দ্র মোদি’র দাবি, দিল্লির আশেপাশে কৃষকদের বিভ্রান্ত করতে ষড়যন্ত্র চলছে। কৃষকদের যে কোনো আশঙ্কা দূর করতে সরকার ২৪ ঘণ্টা তৈরি।

মোদি ভারতীয় কংগ্রেসের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, এখন যারা বিরোধী আসনে বসে কৃষকদের বিভ্রান্ত করছেন, তারাই নিজেদের সময়ে এই সব সংস্কারের সমর্থন করেছিলেন।

তার এই অভিযোগের ব্যাপারে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, মোদি সরকারের কাছে আন্দোলনকারী ছাত্ররা দেশদ্রোহী, উদ্বিগ্ন নাগরিকরা শহুরে নকশাল, অভিবাসী শ্রমিকরা করোনা বহনকারী, ধর্ষণের শিকার নারীরা কেউ নন আর আন্দোলনকারী কৃষকরা খলিস্তানি। তাদের প্রিয় বন্ধু হলো মুনাফাখোর শিল্পপতিরা।

এর আগেও, প্রধানমন্ত্রী কৃষক আন্দোলনের পেছনে বিরোধী শিবিরের উস্কানির অভিযোগ তুলেছিলেন। এছাড়াও, মন্ত্রিসভা সদস্য এবং বিজেপি নেতারা এই আন্দোলনের পেছনে খলিস্তানি, পাকিস্তান, চীন, টুকরে টুকরে গ্যাং, অতিবাম, মাওবাদীর মতো শক্তির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন।

এ ব্যাপারে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শিরোমণি অকালি দলের সভাপতি সুখবীর সিংহ বাদল বলেছেন – বিজেপিই প্রকৃত টুকরে টুকরে গ্যাং। তারা হিন্দু-মুসলিম বিভাজন ঘটিয়েছে। এখন পাঞ্জাবি শিখ এবং পাঞ্জাবি হিন্দুদের মধ্যে বিভেদ ঘটাতে চাইছে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কৃষক আন্দোলনের সংগঠকরা। কৃষক মোর্চার নেতাদের সাফ কথা, প্রধানমন্ত্রী শুধু বলছেন, তাদের ভুল পথে চালিত করা হয়েছে। এভাবে কি সমস্যার সমাধান হয়?

প্রধানমন্ত্রী তার ‘মন কি বাত’ বলছেন। কিন্তু, কৃষকদের কথা শোনার সময় তার নেই- বলেন কৃষক আন্দোলনের মুখপাত্র।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী একবার কৃষকদের বলছেন তাদের স্বার্থেই কৃষি সংস্কার আইন। আবার, ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে বলছেন তাদের জন্য বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুলে দিতেই এই নতুন আইন।

অন্যদিকে, টানা ২০ দিন ধরে রাজধানী দিল্লিতে ঢোকার একাধিক সড়ক অবরুদ্ধ থাকার পর এবার শিল্প মালিকদের পক্ষ থেকেও মোদি সরকারের ওপরে অবরোধ তোলার জন্য চাপ তৈরি হয়েছে।

তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সড়ক অবরোধের ফলে পণ্য পরিবহণের খরচ ৮-১০ শতাংশ বেড়ে গেছে। প্রতিদিন অর্থনীতিতে তিন-সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে।

এ ব্যাপারে নর্দান রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার আশুতোষ গঙ্গল জানান, কৃষকদের অবরোধের ফলে রেলের আড়াই হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

তবে, কৃষি সংস্কার আইন প্রত্যাহার করা না হলে এক ইঞ্চিও পিছু হঠবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা।

কৃষক আন্দোলন গুজরাট টপ নিউজ দিল্লি নরেন্দ্র মোদি ষড়যন্ত্র


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর