চসিক নির্বাচনে ভোট ডাকাতি প্রতিহত করা হবে: শাহাদাত
১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৩৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচনে ভোট ডাকাতির চেষ্টা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও দলটির চট্টগ্রাম নগর কমিটির সভাপতি শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। বিগত নির্বাচনের মতো এবারও আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করার চেষ্টা করবে। এজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাহারা দিতে হবে। ভোট ডাকাতি করতে এলে তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে। এ চট্টগ্রাম আমাদের, ভোট আমাদের, কাউকে পবিত্র আমানত ভোট ডাকাতি করতে দেওয়া যাবে না।’
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নগর বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
সভাপতির বক্তব্যে শাহাদাত বলেন, ‘আজ নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হচ্ছে না। ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে গোটা জাতিকে বিকৃত ইতিহাস দিচ্ছে। দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনীতি নেই, আছে শুধু দলনীতি। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে এর পরিপন্থী কাজ করে। স্বাধীনতার চেতনা কি একদলীয় শাসন? মানুষের ভোটাধিকার হরণ? এসব অপকর্ম করে আর বেশি দিন চালানো যাবে না। জনগণ জেগে উঠেছে। গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ কেউ রোধ করতে পারবে না। একদলীয় নীতি বেশি দিন চলবে না। সব রাজনৈতিক দল-মত-শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।’
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘যারা বড় গলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফেরি করে বেড়াচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলেন। তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানায় না। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়।’
নগর কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে আওয়ামী লীগ এখন মুক্তিযু্দ্ধের চেতনা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হয়েছে। যে ভোট আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল মানুষ, সেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এখন নেই। আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে মানুষের সংবিধানিক সব অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। দেশের প্রশাসনকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে ভোট ডাকাত ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে।’
নগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, নগর কমিটির সহসভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, শামসুল আলম, আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, মাহবুবুল আলম, নিয়াজ খান, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু।