তাসমানিয়া: নারীরাই যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রনেতা
১৬ মার্চ ২০১৮ ১৫:০৪
||সারাবাংলা ডেস্ক||
সারা বিশ্বেই রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ কম। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের ২০১৭ সালের বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য তালিকায় দেখা গেছে সারা পৃথিবীতে মাত্র ২৮ শতাংশ নারী আইন প্রণয়নের কাজে নিয়োজিত আছে।
এ গবেষণার গুরুত্ব খুব বেশি কারণ বাংলাদেশের মতো দেশ যেখানে দীর্ঘদিন ধরে সরকার প্রধানের পদে নারীরা আছেন তারপরেও সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ‘সংরক্ষিত নারী আসন’ রাখতে হয়।
এ তো গেল বাংলাদেশের গল্প, প্রথম বিশ্বের এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে নারীরা এখনও মোট আইনপ্রনেতা সংখ্যার ২০ শতাংশেও পৌঁছাতে পারেনি। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপরাজ্য তাসমানিয়াতে নারীরা দেখিয়েছেন চমক।
গত ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তাসমানিয়া অস্ট্রেলিয়ার প্রথম এমন রাজ্য হয়েছে যেখানে নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা পুরুষদের চেয়ে বেশি।
প্রাদেশিক এই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয় এ সপ্তাহে। অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপিটাল টেরিটরি, যেটা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে উচ্চ ও নিম্ন কক্ষের সংসদ পরিচালনার কাজ করে তারাও ২০১৬ সালে অধিকাংশ নারী প্রতিনিধি নিয়ে সরকার গঠন করেছিল।
তাসমানিয়ার নিম্ন কক্ষে এই নির্বাচনে তেরজন নারী ও বারোজন পুরুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়।
নির্বাচনের এই ফলাফলকে স্থানীয় রাজনীতিকরা ‘ভীষণ ইতিবাচক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
তাসমানিয়া লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার মিশেল ওব্রায়েন। তিনিও একজন নারী। দলটি এখন তাসমানিয়ার বিরোধী দল। মিশেল এ জয় সম্পর্কে বলেন, ‘এই ফল নতুন মেয়েদের একটা পথ দেখায়। তাদের বলে যে রাজনীতি ও নেতৃত্বের ভূমিকাটি তারাও পেতে পারে।’
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের তথ্য অনুযায়ী রাজনীতিতে নারীদের ক্ষমতায়নের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া ৩৫ তম দেশ।
তবে সংরক্ষিত নারী আসন থাকুক আর যাই থাকুক। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো, বাংলাদেশ এখানে আছে ৭ম অবস্থানে।
সারাবাংলা/এমএ