Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘পদ্মাসেতুর একটি টাকাও এদিক-সেদিকের উপায় ছিল না’


১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:৩৬

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পদ্মাসেতুতে অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপনকারীদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি, স্বচ্ছভাবেই পদ্মাসেতুর কাজ আমরা করেছি। এখানে একটি টাকাও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো উপায় ছিল না। এখানে স্বচ্ছতার সামান্যতম ঘাটতি ছিল না।’

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সেতু ভবনে বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা এবং বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ কর্ণারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা মন ও মননে এ দেশকে মেনে নিতে পারেনি, তারাই স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তিবলয়কে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। আজ বিএনপি কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্বের কথা বলে অথচ বিদেশিদের কাছে নালিশ দেওয়াই এখন তাদের প্রধান কাজ।’ স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দল হয়ে বিজয়ের মাসে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রকাশ্যে বিদেশি শক্তির নৈতিক সাহায্য চাওয়া বিএনপির দেউলিয়াত্বের লক্ষণ বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই আর্থ সামাজিক অধিকাংশ সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের কথা আলোচনা হয়, তারা এখন বাংলাদেশ হতে চায়। এখানেই একজন মুজিবের আজন্ম সংগ্রামের সফলতা এবং অর্জন।’

শেখ হাসিনার ম্যাজিক লিডারশিপ, ক্যারিশমেটিক ডিসিশন মেকিংয়ে বাংলাদেশকে আজ বিশ্বসভায় বিস্ময়ে পরিণত করেছে। তিনি বিনা যুদ্ধে জয় করেছেন সুনীল সমুদ্র সীমা। এদেশের লাখো কোটি তরুণের প্রাণে এখন আত্মমর্যাদা বোধের নবস্বপ্ন,ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশের ডিজিটাল বাংলাদেশের বিপ্লব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ মেরুদণ্ড শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ানো এক দেশ সারাবিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর অসীম সাহসের প্রতীক হচ্ছে বাঙালির স্বপ্নের পদ্মাসেতু বলেও অভিহিত করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সাহস একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যারই আছে, তা তিনি প্রমাণ করেছেন।এ সেতুর মাধ্যমে দেশের প্রবৃদ্ধি আর সমৃদ্ধির নব দ্বার দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে। আমরা প্রমাণ করেছি বাঙালি বীরের জাতি। যারা কখনো স্বপ্নেও ভাবেননি বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো একটা সুবিশাল প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে পারবে।’

চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণে স্বচ্ছতার সামান্যতম ঘাটতি ছিল না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই পদ্মা সেতু নির্মাণে আমি মন্ত্রী-এমপি, আমার এলাকার একজন শ্রমিকেও এখানে চাকরি দিতে যাইনি। এ সুযোগ আমি নিজেও নেইনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ রক্ষার জন্য আত্মনিয়োগ করেছিলাম, সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলাম। দিনরাত কাজ করেছে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান কনসালটেন্টরা, আমাদের কর্মকর্তারা। পদ্মা সেতু নিয়ে আজকে যারা অনিয়মের কথা বলেন, অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা বলেন, আমি শুধু বলব, তারা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করছেন। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবেন না, এমন অঙ্গীকারও অনেকে করেছেন। কিন্তু সবার মুখে ছাই দিয়ে শেখ হাসিনা শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঁক অতিক্রম করেছেন। ইনশাল্লাহ ২০২২ সালে সেতু সড়কে পরিবহন চলবে। আমরা সবাই সেই শুভদিনের অপেক্ষা করছি।’

সেতু বিভাগের সচিব মো. বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ার হোসেন। এর আগে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু কর্নারের উদ্বোধন করেন এবং পরিদর্শন করেন।

ওবায়দুল কাদের টপ নিউজ পদ্মাসেতুর কাজ সেতুমন্ত্রী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর