সবজির স্বস্তি কেড়ে নিচ্ছে চাল
১৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:০৭
ঢাকা: শীতের আশীর্বাদ ভালোভাবেই পরিলক্ষিত হচ্ছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় বড় হচ্ছে ক্রেতার ব্যাগ। কিন্তু মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চাল। চালের গন্তব্য কোথায় বলতে পারছেন না পাইকারি ব্যবসায়ীরাও! ক্রেতার চাহিদার বড় অংশ জুড়ে থাকা মিনিকেট চাল খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। অন্যদিকে বছরজুড়ে আলোচনায় থাকা পেঁয়াজের দাম এখনো ধোঁয়াশার মধ্যেই রয়েছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমতির মধ্যেই গত সপ্তাহে আবারও বেড়েছে!
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৪৫, চায়না ২০ ও মিশরের পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আদা ১০০ টাকা, চায়না রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ও দেশি রসুন ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজির বাজারে স্বস্তি থাকলেও আলুর দাম এখনো চড়া। পুরনো আলু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং নতুন আলু ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের ফুলকপি ২৫ টাকা ও মাঝারি আকারের ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে পাতাকপিও। আর প্রতি কেজি শালগম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। এছাড়া
বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, বটবটি ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা ও গাজর ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের বিক্রেতা আনিস সারাবাংলাকে বলেন, বাজারে সবজির দাম বেশ কম। বিক্রিও বাড়ছে।
এদিকে, মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৩০ টাকা, বটবটি ৮০ টাকা, সিম ৩০, বেগুন ৪০ টাকা ও কড়লা ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফুলকপি ২০ ও পাতা কপি ২৫ এবং লাউ ৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।
আর এই বাজারে শশা ৫০ থেকে ১০০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১৬০ টাকা টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা হালিতে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর সয়াবিন তেল ১১৭ টাকা লিটারে ও ডিমের হালি ৩০ টাকা।
বাজারে চালের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে আরও বেড়েছে। ৫০ কেজি ওজনের উন্নতমানের মিনিকেটের বস্তা এখন ৩১৫০ থেকে ৩২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বস্তায় চালের দাম বেড়েছে অন্তত ১০০ টাকা। বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক গাফফার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, কেজিতে চালের দাম এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।
কারওয়ানবাজারের হাজী ইসমাইল এন্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, গেল সপ্তাহে মিনিকেট ২৮৫০ টাকা বস্তায় বিক্রি হলেও এখন দাম ৩০০০ থেকে ৩১০০ টাকা। এখন ৫৮ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ানবাজারে গরু ৬০০ ও খাশি ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২০০ টাকা ও সাদা কর্ক ২০০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাজারে প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।