ঢাকা: বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখতে একটি মহল সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বনানীতে নিজ বাসভবনে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই অভিযোগ করেন। দায়িত্বপালনে অপারগতা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘অতীতে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত স্মরণীয় দিবসসমূহে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো। গত দেড় বছরে এ ধরনের অনুষ্ঠানে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাকে ডাকার প্রয়োজন বোধ করেননি। বোঝাই যাচ্ছে, বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি মহল সক্রিয় রয়েছে।’
উল্লেখ্য গত সোমবার দলের দুই ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দিয়েছিল বিএনপি। ওই নোটিশে সই করেন দলের জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
প্রটোকল না মেনে নোটিশ দেওয়ায় ‘অত্যন্ত অপমানিত’ বোধ করছেন উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপিতে যোগদানের আগে আমি তিনবার সংসদ সদস্য ছিলাম। ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি গত ২২ বছর ধরে দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। দলের ভাইস চেয়ারম্যানকে একজন যুগ্ম মহাসচিব (আদিষ্ট না হয়েও) এমন কঠিন, আক্রমণাত্মক ভাষায় কৈফিয়ত তলব করায় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি। এখানে প্রটোকল ও সৌজন্যের ব্যত্যয় ঘটেছে।’
এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভায় অংশ নেন দলটির দুই ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদ। ওই অনুষ্ঠান শেষে কিছু নেতাকর্মী পুরানা পল্টন মোড় ও জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেন। পরে লাঠিপেটা করে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে হঠাৎ বিক্ষোভের পেছনে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদের হাত রয়েছে বলে মনে করেন দলের অনেক সিনিয়র নেতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়।