মেজর হাফিজকে শোকজ মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান: ওবায়দুল কাদের
২০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:৩৮
ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ( মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ) ও একজন খেতাবধারী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সত্য বলার অপরাধে শোকজ করায় দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে তার দফতরে ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাদের দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের চর্চা নেই তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে পারবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে না।’
তিনি বলেন, ‘নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপি এখন জনবিচ্ছিন্ন এবং তাদের নেতৃত্ব বহুধাবিভক্ত।’
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে গোপনসখ্যতা রাখায় বিএনপি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে মন্তব্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর বলেন, ‘বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে।’
সুযোগ পেলেই বিএনপি তাদের যে কোনো নেতাকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলতে পারে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি কুচক্রী মহল সক্রিয় রয়েছে।’
মেজর হাফিজকে ইঙ্গিত করা দলের ভেতরের মহলটি বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতাকারীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, ‘এর মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়েছে, দলীয়ভাবে তারা ভাস্কর্যের অবমাননাসহ দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে এবং অপকর্মের ইন্ধন জোগাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান যখন দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি- বাণিজ্য এবং মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ আনে তখন সে দলের কর্মি ও জনগণের কাছে দলীয় নেতৃত্বের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।
শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢাকা যায় না তেমনি বিএনপিও তাদের অপরাজনীতি এখন আর ঢেকে রাখতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
উল্লেখ্য, বিএনপির পক্ষ থেকে শোকজ নোটিশ দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেন মেজর হাফিজ আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, ‘অতীতে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত স্মরণীয় দিবসসমূহে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো। গত দেড় বছরে এ ধরনের অনুষ্ঠানে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাকে ডাকার প্রয়োজন বোধ করেননি। বোঝাই যাচ্ছে, বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি মহল সক্রিয় রয়েছে।’