‘রাষ্ট্রপতির কাছে ৪২ নাগরিকের চিঠি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন’
২০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:০১
ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের চিঠি প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘এটা হয়তো বা কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এগুলোর কোনোটার ভিত্তি আছে বলে আমি মনে করি না। এরকম একটা বিষয় উপস্থাপন করা সুধীজনদের জন্য এটা বিবেচনা প্রসূত নয়।’
রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে এ মন্তব্য করেন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘কী উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেছেন, সেটা তারাই বলতে পারবেন।’
যে অভিযোগগুলো বিশিষ্টজনেরা তুলেছেন, সে বিষয়ে এখন রাষ্ট্রপতি কী করবেন, সেটা তার ব্যাপার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অভিযোগগুলোর বিষয়ে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরে কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘বিশিষ্টজনরা যে এ ধরনের কথা বলছেন, দু-একটা পত্রিকা বা টেলিভিশনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই তারা এ ধরনের একটা অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ ও গাড়ি ব্যবহারের বিষয়টা যে পত্রিকা ছাপিয়েছিল, সেখানে আমরা রিজয়েন্ডার দিয়েছিলাম। আমরা জানি না, সেটা তাদের নজরে এসেছে কি না। দ্বিতীয়ত, গাড়ির যে ব্যবহারের বিষয়; আমার মনে হয় না আমাদের সেই প্রয়োজন আছে। কারণ, আমাদের প্রাধিকারভুক্ত গাড়ি সেটাই আমরা শপথ নেওয়ার তিন বছর পর পেয়েছি। যে গাড়িগুলো তারা অত্যন্ত বিলাসবহুল হিসেবে বলেছেন, আমরা জানি না বিলাসবহুল ছাড়া অন্য গাড়ি কোনগুলো। আমি তো দেখেছি, সেগুলো ইউএনওরাও ব্যবহার করছেন। বাড়তি গাড়ি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা আমার নাই, আমার বিশ্বাস অন্যদেরও নাই।’
সবচেয়ে পীড়াদায়ক হলো বিশিষ্টজনরা তাদেরকে অভিযুক্তও করে ফেলেছেন বলেও উল্লেখ করেন শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘একই সাথে রাষ্ট্রপতির কাছে তারা অভিযোগ স্থাপন করলেন, আবার আমাদেরকেও অভিযুক্ত করে ফেললেন। শুধু সেটা না, আমাদের কী করণীয় বা আমাদের কী দণ্ড সেটাও এক অর্থে দিয়ে দিলেন। সেটা কতখানি বিবেচনাপ্রসূত বা শীষ্টাচার বর্জিত কি না, সেটা বিবেচনার ভার আপনাদের।’
মানহানির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যাবেন কি না, তাও তিনি জানাতে রাজি হননি।’
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট চেষ্টা করছে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ করার জন্য। নির্বাচন কমিশনের যতটুকু করণীয় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’
বিষয়টি নিয়ে কমিশনাররা আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন তো প্রশ্নের সম্মুখীন হলো কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না। জাতির কাছে আপনাদের মাধ্যমে আমি তুলে ধরেছি যে, সেটা কতখানি বিবেচনাপ্রসূত।’