অর্থপাচারকারী দ্বৈত নাগরিকদের তালিকা জমার নির্দেশ হাইকোর্টের
২১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:৫৭
ঢাকা: দুর্নীতি ও অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত দ্বৈত নাগরিক ও দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত পুলিশ সুপার স্পেশাল ব্রাঞ্চকে (ইমিগ্রেশন) এ মামলায় পক্ষভুক্ত করে এ আদেশ দিয়েছেন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুলিশ সুপার স্পেশাল ব্রাঞ্চকে (ইমিগ্রেশন) এ তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন এ আইনজীবী। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ইমিগ্রেশনকে এ মামলায় পক্ষভুক্ত করে দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারীকারী দ্বৈত নাগরিক ও দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়েছেন আদালত।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্পেশাল ব্রাঞ্চের (ইমিগ্রেশন) পুলিশ সুপারকে এই তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে, কানাডাসহ দেশের বাইরে অর্থপাচারকারীদের নাম, ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে গত ২২ নভেম্বর আদেশ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করে। ওই রুলের ধারাবাহিকতায় সোমবার মামলাটি তালিকায় আসে।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী আদালতের কাছে দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচাকারী দ্বৈত নাগরিক ও দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়ে আদেশ প্রার্থনা করেন। এ সময় আদালত বলে, ‘দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচাকারী দ্বৈত নাগরিক ও পাসপোর্টধারী কারা, সেটা আমরাও জানতে চাই।’ পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশ দেয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে অর্থপাচারকারীদের তালিকা দিলেও তাতে সন্তুষ্ট হয়নি হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্ট আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়ে পরবর্তী তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ২২ নভেম্বর অর্থপাচারকারীদের তথ্য চেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের নিয়ে ১৯ এবং ২১ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমলে নিয়ে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশসহ রুল জারি করেন। রুলে যারা বিদেশে অবৈধভাবে অর্থ পাচার করেছেন তাদের যাবতীয় কার্যক্রমকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সাতজনকে রুলে বিবাদী করা হয়।
এছাড়া দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিনানসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, এনবিআর চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়।