Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আবরার হত্যা: বিচারক পরিবর্তনে আসামিদের আবেদন খারিজ


২১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:২১

আবরার ফাহাদ

ঢাকা: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারক পরিবর্তন ও আদালত স্থানান্তর চেয়ে আসামিদের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘বিচারক পরিবর্তন ও আদালত স্থানান্তর চেয়ে আসামিদের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আদালতে মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।’

আজ আদালত আসামি পক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘কোর্টের আদেশেই বলা হয়নি সাক্ষী রিকলের। সেখানে আপনারা কোর্ট ট্রান্সফারের আবেদন করেছেন। আমরা মনে করি সিআরপিসি ৫২৬ অনুযায়ী আবেদন যথাযথ হয়নি। এরপর আদালত আসামিদের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।’

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারক পরিবর্তন ও আদালত স্থানান্তর চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামিপক্ষ।

এর আগে ৩ ডিসেম্বর নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে আশঙ্কা থাকায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। বর্তমানে এই আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অনাস্থা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বেআইনিভাবে মামলার সাক্ষীদের পুনরায় আদালতে ডেকে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এতে নিরপেক্ষ বিচার নিয়ে আসামিদের ন্যায়বিচারের আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন কারাগারে আটক ২২ আসামির আইনজীবী।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারবহির্ভূত ৬ জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আট জন।

গ্রেফতার ২২ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

বিজ্ঞাপন

মামলার ৩ আসামি এখনো পলাতক আছেন। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দু’জন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভুত আসামি।

১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় কারাগারে থাকা ২২ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেন।

আবরার আবেদন হত্য মামলা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর