Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুশীলরা মতলববাজ, তথাকথিত সুশীলদের সঙ্গে দেশের মানুষ নেই: নানক


২১ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:১৪

ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতলববাজ উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, ‘এরা মতলববাজ, এরা বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসেবে মাঝে মাঝে কাছিমের মতো মাথা বের করে। এদের কোনো আবেদন-নিবেদন নেই।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে ‘গুরুতর অসদাচরণের’ অভিযোগ করেছেন দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে এ বিষয়ে সারাবাংলার কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি

 নানক আরও বলেন, ‘সুশীল সমাজের সম্পর্কে যদি স্বরূপ উদঘাটন করি তাহলে খুব নোংরা স্বরূপ আছে! এ বিষয়গুলো নিয়ে বলতে চাই না। এই সুশীলরা ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর, তারপরেও কিন্তু এই সুশীলদের কোনো ভূমিকা আমরা দেখিনি।’

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে ইতিহাসের একটি বর্বরতম হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ড হয়েছে কিন্তু সুশীলদের কথা বলতে দেখিনি। এমনিক এই সেদিন বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে গ্রেনেড হামলা যখন হলো, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশে, আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশে, তখনো কিন্তু এই সুশীলরা কথা বলেননি।’

এছাড়া তিনি বলেন, ‘আমি জানি না; নির্বাচন কমিশনের কাছে গ্রহণযোগ্য আছে কি না বা এটা চিন্তার মধ্যে নেবে কি না? আমাদের কাছে এই সুশীলদের বা বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই সুশীলদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা যে নাই, তা বারবার প্রমাণ করেছে এক/এগারোর অঘটন। এক/এগারের অঘটন করার পর এই সুশীলদের ভূমিকা দেশের মানুষ দেখেছে। কাজেই মানুষ এই তথাকথিত সুশীলদের সঙ্গে নাই। এটি আমাদের কোনো চিন্তার মধ্যে আনার কোনো কারণও নেই, সুযোগও নেই।’

এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে ‘গুরুতর অসদাচরণের’ অভিযোগ করেছেন দেশের ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক। শুধু অসদাচরণ নয়, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্যেরও অভিযোগও এনেছেন তারা। তার প্রতিক্রিয়ায় নানক এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠিয়ে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি অভিযোগের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকারও অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলার জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে অনুরোধও জানিয়েছেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্নভাবে গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত হয়েছেন। কমিশনের সদস্যগণ একদিকে গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, যা অভিশংসনযোগ্য অপরাধ। একইভাবে তারা বিভিন্নভাবে আইন ও বিধিবিধানের লঙ্ঘন করে গুরতর অসদাচরণ করে চলেছেন। আমরা আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মসহ কমিশনের গুরুতর অসদাচরণের অন্য কয়েকটি ক্ষেত্র আপনার সদয় অবগতির জন্য চিহ্নিত করছি।

নানক মতলববাজ সশীল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর