রবি ও বাংলালিংকের ভ্যাস সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
২২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:২৯
ঢাকা: মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টিভ্যাস) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আপাতত প্রত্যাহার করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
সারাবাংলাকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপারেটর দুটির সঙ্গে আজ বৈঠক হয়েছে। তারা গ্রাহকের অজান্তে টাকা কেটে নেওয়ার এই অপরাধ আর করবে না এমন লিখিত দেবে বলে জানিয়েছে। তাই আপাতত ভ্যাস সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে আমরা সরে এসেছি।’
এর আগে, রোববার (২০ ডিসেম্বর) অপারেটর দু’টিকে ভ্যাস সার্ভিস বন্ধ রাখতে চিঠি পাঠানো হয়। অপারেটর দুটিকে পাঠানো আলাদা চিঠিতে এ সংক্রান্ত সেবা বন্ধের কথা বলা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল তদন্ত চলাকালে এ ধরণের সেবা আর দেওয়া যাবে না। অপারেটর দুটিও তাদের এ ধরণের সেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
এর আগে, অনুমতি ছাড়াই গ্রাহকের সেবা চালু করে টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবি আজিয়াটা ও বাংলালিংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। একইসঙ্গে তখনও অপারেটর দু’টিকে টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টিভ্যাস) বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত ১০ নভেম্বর অপারেটর দুটিকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছিল বিটিআরসি। নতুন করে আবার একই সেবা বন্ধ রাখার চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
রবি ও বাংলালিংককে ভ্যাস সার্ভিস বন্ধের নির্দেশ
অপারেটর দুটিকে আগের পাঠানো পৃথক চিঠিতে বলা হয়েছিল, গ্রাহকের কাছ থেকে দু’বার সম্মতি নিয়ে টিভ্যাস সেবা চালু করার বিধি থাকলেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে গ্রাহকের অজান্তেই তার মোবাইলে সেবাটি চালু হয়ে থাকে এবং গ্রাহকের ব্যালেন্স থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। কনটেন্ট প্রোভাইডার এবং বাংলালিংক ও রবি গ্রাহকের অজান্তে তার মোবাইল বিভিন্ন টিভ্যাস চালু করার মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করছে বলে প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে বিটিআরসি।
চিঠিতে বলা হয়েছিল, টিভ্যাস গ্রাহকের অধিকাংশই সমাজের নিম্ন আয়ের, শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যারা শহরতলী বা গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন। বাংলালিংক ও রবির সরাসরি সহযোগিতা ছাড়া এইসব গ্রাহকের তালিকা কনটেন্ট প্রোভাইডারদের পক্ষে হস্তগত করা সম্ভব নয়। এসব টিভ্যাসের সার্ভিস ডেলিভারি প্লার্টফর্ম বাংলালিংক ও রবির নিয়ন্ত্রাধীন।
বাংলালিংক ও রবির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে গ্রাহকের অজান্তে তার মোবাইল ফোনের সার্ভিস অ্যাক্টিভেট করে মোবাইল থেকে টাকা নেওয়ার ফলে বাংলালিংক ও রবি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১, সুস্পষ্ট লংঘন করেছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
এদিকে, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (ভ্যাস) প্রোভাইডার কর্তৃক গ্রাহকের পকেট কাটা সেবা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনও। গ্রাহকদের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত এই সেবার বন্ধের দাবি ছিল এই সংগঠনেরও।
বাংলালিংক বিটিআরসি বিটিআরসির চেয়ারম্যান ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস রবি