Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে ৫ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শুরু


২২ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:০৯

ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫১তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ভারতের আসামের গৌহাটিতে পাঁচ দিনব্যাপী এই বৈঠক শুরু হয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এই বৈঠক শেষ হবে বলে জানিয়েছেন, বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

অন্যদিকে বিএসএফের মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল উক্ত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ফ্রন্টিয়ার আইজিগণ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন।

এবারের সম্মেলনের বিষয়বস্তুর মধ্যে আছে-

সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও আহত বা হত্যা করা সম্পর্কে প্রতিবাদ জানানো এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে করণীয়।

ভারত থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন, ভায়াগ্রা ও সেনেগ্রাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ মাদকদ্রব্যের চোরাচালান রোধ। এছাড়া ভারতের অভ্যন্তরে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য, মাদকদ্রব্যের কারখানা, গুদাম এবং মাদকের চোরাচালান রোধ, মাদক পাচারকারীদের সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়।

বিজ্ঞাপন

ভারত থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান রোধ এবং অস্ত্র চোরাচালান রোধে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তথ্য বিনিময়।

বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমানা লংঘন, অবৈধ পারাপার ও অনুপ্রবেশ রোধ।

সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে ভারত কর্তৃক অনুমোদনহীন উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ না করা এবং বন্ধ থাকা বাংলাদেশের অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করা।

উভয় দেশের সীমান্ত এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন।

রাজশাহী সীমান্তের চর মাজারদিয়া ও চর খানপুর এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে পদ্মানদীর ভারতীয় অংশ ব্যবহারের অনুমতি নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।

ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়।

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা দ্রত সমাধানের জন্য ‘কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন।

পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ।

আগামী ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে সীমান্ত সম্মেলনের ‘যৌথ আলোচনার দলিল’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আগামী ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন।

বিএসএফ বিজিবি সীমান্ত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর