ঢাকা-আনকারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করার প্রত্যয়
২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:৩১
ঢাকা: উভয়পক্ষের উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশ-তুরস্ক বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বর্তমানের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার থেকে দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের একাধিক খাতে বিনিয়োগ করতে চায় তুরস্ক। দেশটি সামরিক সরঞ্জাম খাতেও বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
ঢাকা সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসলো বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এসব তথ্য জানান। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসলো।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুসলো বলেন, অতি স্বল্প সময়ে অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশ যে উন্নয়ন করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান তারা (রাইজিং স্টার)। দেশটিতে প্রচুর সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে, যেখানে বিনিয়োগ করা যায়। তুরস্কের বড় বড় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
মেভলুট ক্যাভুসলো বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আমি আজ (বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর) সকালে বৈঠক করেছি। আমাদের এখনকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ মুদ্রা। আমরা সিদ্ধান্তি নিয়েছি, এই পরিমাণকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করব।
সামরিক সরঞ্জাম এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে তুরস্ক বাংলাদেশতে সহযোগিতা করতে চায় জানিয়ে মেভলুট ক্যাভুসলো বলেন, অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে তুরস্ক বিশ্বে দ্বিতীয়। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে তুরস্ক সহযোগিতা করতে চায়। এছাড়া সামরিক খাতের ৭৫ শতাংশ সরঞ্জাম তুরস্ক নিজেই উৎপাদন করে, যা মানসম্মত এবং বিশ্বে এর সুনাম রয়েছে। এই খাতে তুরস্ক, বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন সংক্রান্ত প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করতেও তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ ভিত্তিতে সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন করতে চায় তুরস্ক।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াই হচ্ছে এই সঙ্কটের একমাত্র সমাধান। এই ইস্যূতে বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের অব্যাহত সমর্থন থাকবে। পাশাপাশি স্বেচ্ছায় এবং সম্মানের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে তুরস্ক মিয়ানমারের সঙ্গেও কাজ করছে।