Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চ্যারিয়ট অব লাইফ: ২০০৮-এর আগে ও পরের বাংলাদেশ


১৬ মার্চ ২০১৮ ২২:০৯

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রকাশিত হল প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রমের গ্রন্থ ‘চ্যারিয়ট অব লাইফ— লিবারেশন ওয়ার, পলিটিক্স অ্যান্ড সোজার্ন ইন জেল’। ইংরেজি ভাষায় রচিত বইটি আত্মজীবনীমূলক হলেও মূলত তা ইতিহাসভিত্তিক এবং বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম ও বাংলাদেশ বিষয়ক তথ্যে সমৃদ্ধ।

লেখক বইটিতে নিজের চোখে দেখা এবং নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার বর্ণনা দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে গ্রন্থটিতে মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০০৮ সালের পরের বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। গ্রন্থটির প্রকাশনা অনুষ্ঠান শুক্রবার (১৬ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম তার বইটি সম্পর্কে বলেন, ‘জীবনের শেষবেলায় নতুন প্রজন্মের জন্য কিছু লেখার ইচ্ছা ছিল। এই গ্রন্থটির বড় অংশই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। বয়স হওয়ার কারণে স্মরণ শক্তি কমে গেছে। যে কারণে বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে নির্দিষ্ট কারো নাম উল্লেখ করিনি। আমাদের হিসেবে উল্লেখ করেছি। যাতে কেউ বাদ না পরেন।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘পুরো গ্রন্থটি প্রকৃত অর্থে একটি কবিতা। তিনি খুব সুন্দরভাবে ঐতিহাসিক তথ্য এবং ঘটনাকে উপস্থাপন করেছেন। মোটাদাগে দুইটি বিষয়কে নিয়ে তিনি পুরো বইটি লিখেছেন। এক, মুক্তিযুদ্ধ এপ্রিল ১৯৭১ এবং দুই, ২০০৮ সালে তার জেল যাত্রা। এই দুইটি ইস্যুকে তিনি একের পর এক এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যাতে দেশের ঐতিহাসিক তথ্য সাবলীল ভাষায় উঠে এসেছে।’

বিজ্ঞাপন

এরআগে অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘নানাভাবে চিন্তা করেছি কী বলব। শেষ পর্যন্ত বইটির বিভিন্ন পাতা ভাজ করে রেখেছি, যেখান থেকে বলতে পারব।’ এরপর অর্থমন্ত্রী গ্রন্থটির ২৩, ৩৭, ৫৭, ২৩৮ এবং ২৯৭ নম্বর পৃষ্ঠার কিছু কিছু অংশ পাঠ করেন।

একাত্তর টেলিভিশনের পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, ‘গ্রন্থটিতে ২০০৮-এর পরের বাংলাদেশ এবং ২০০৮-এর আগের বাংলাদেশের চিত্র উঠে এসেছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ যেটা উঠে এসেছে সেটা হল ২০০৭ সালে সিভিল সোসাইটি এবং সেনাবাহিনীর যৌথ তত্ত্বাবধানে জরুরি অবস্থা জারি। যা পৃথিবীর ইতিহাসে সিভিল সোসাইটি এবং সেনাবাহিনীর যৌথ তত্ত্বাবধানে জরুরি অবস্থা জারির কোনো নজির নাই। এই জায়গাগুলোতে আমাদের রাজনীতিকদের দর্শন তিনি দক্ষতার সঙ্গে তুলে ধরেছেন। চৌধুরী নিজে যুদ্ধ করেছেন এবং যে দেশের জন্য তিনি যুদ্ধ করেছেন, যুদ্ধের পর সেই দেশের কারাগারেই তিনি বন্দী হয়েছেন। এই কথাগুলোও বাইটিতে এসেছে।’

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বই নিয়ে আলোচনা করেন— অধ্যাপক ড. আরিফা রহমান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সম্পাদক ইকবাল সোবাহান চৌধুরী, বিডিনিউজের সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালেদী, একাত্তর টেলিভিশনের পরিচালক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান, একুশে পদক প্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম এবং প্রকাশক রবিন আহসান। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে শ্রাবণ প্রকাশনী।

সাবেক সচিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে মুজিবনগরে সরকার গঠনের শপথ অনুষ্ঠানের মূল আয়োজকদের একজন ছিলেন তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

চ্যারিয়ট অব লাইফ— লিবারেশন ওয়ার, পলিটিক্স অ্যান্ড সোজার্ন ইন জেল: আত্মজীবনীমূলক এই বইটি থেকে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধসহ নিজের জীবনের বিভিন্ন ধাপে সংগ্রাম আর পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর স্মৃতিকথাভিত্তিক এই গ্রন্থটি। বইটিতে স্থান পেয়েছে লেখকের তারুণ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, দেশের জন্য জীবনবাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া, মুক্তিযুদ্ধের পর নিজের দেশের কাছে কয়েক দশকের ব্যবধানে সম্মান ও অসম্মান লাভ।

পাশাপাশি ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী তার প্রিয় নেতার (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সান্নিধ্যে থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিজ্ঞতার ঝুলিকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছেন তা নিথুঁতভাবে বইটিতে তুলে ধরেছেন। প্রকাশ করেছেন প্রিয় নেতার সঙ্গে মিশে নিজেকে সমৃদ্ধ করার সুযোগের জীবন ঘনিষ্ঠ বর্ণনা।

বইটিতে ফুটে উঠেছে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর তরুণ বয়সের আলোকিত ক্যারিয়ার। তার লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন হঠাৎ দেশের রাজনৈতিক ঘূর্ণিঝড়ে আটকা পড়ার দ্বিধাদ্বন্দ্বের ঐতিহাসিক তথ্য। সংকট আর অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে মাতৃভূমির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছেন। গ্রন্থটিতে সেসব বর্ণনা তুলে ধরেছেন। সাক্ষী হয়েছেন এমন সব ঐতিহাসিক ঘটনার যার ধারাবাহিকতায় এসেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ঘোষণা।

সারাবাংলা/জেআইএল/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর