Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে জানুয়ারি থেকে অভিযান


২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:৪০

ঢাকা: দেশের উপকূলীয় ১৭টি জেলায় মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী অবৈধ জাল নির্মূলে আগামী জানুয়ারি থেকে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ শীর্ষক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ এ সভার সভাপতিত্ব করেন। সভায় মৎস্যসম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দী ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়।

উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠী পিরোজপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার ও মুন্সিগঞ্জে দুইধাপে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় নৌবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ বিশেষ কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হবে। এ বিশেষ অপারেশন সমন্বয়ের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদফতরের মনিটরিং টিম কাজ করবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. ইমদাদুল হক, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মো. মশিউর রহমান খান ও সুবোধ চন্দ্র ঢালী, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক রশিদ আহমদ, নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম এবং নৌবাহিনী, র‌্যাব ও কোস্টগার্ডের প্রতিনিধি এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। অভিযান সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকগণ, মৎস্য অধিদফতরের বিভাগীয় উপপরিচালকগণ ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণ অনলাইনে সভায় সংযুক্ত হয়ে মতামত প্রদান করেন।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। নদী, উপকূল, মোহনায় বেহুন্দী জাল, চটজাল, মশারি জাল, জগতবেড় জাল, কারেন্ট জালসহ সকল প্রকার অবৈধ জালের ব্যবহার যেকোন মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। কিছু অসাধ্য ব্যক্তির কারণে দেশের মৎস্যসম্পদ ধ্বংস হতে কোনভাবে দেয়া হবে না।’

উল্লেখ্য, দেশের উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় মৎস্য সম্পদের জন্য ক্ষতিকর বেহুন্দী জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চটজাল, টং জাল ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের ডিম, রেণু ও পোনা বিনষ্ট হচ্ছে। ফলে দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে ‘দি প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস অ্যাক্ট-১৯৫০ ও দি প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস-১৯৮৫-এর আওতায় এ ক্ষতিকর জালসমূহের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ ধারাবাহিকতায় জাটকাসহ অন্যান্য দেশীয় মাছের রেণু ও পোনা রক্ষায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

অবৈধ জাল মংস্যসম্পদ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সালমান শাহ্‌ স্মরণে মিলাদ মাহফিল
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:০৩

নাফ নদীর মোহনায় ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৯

সম্পর্কিত খবর