সিএমপির উদ্যোগ— সুপারশপে বাজার করে উচ্ছ্বসিত ৬০ পথশিশু
২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কেউ পিতৃ-মাতৃহীন এতিম, কারও বাবা কিংবা মা থাকলেও দারিদ্র্যের কষাঘাতে পিষ্ট জীবন। কেউ বা আবার বেড় উঠছে সমাজের দেওয়ার নাম ‘পথশিশু’ নিয়ে। সমাজের অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুরা কখনো স্বপ্নও দেখে না যে একটি বিনোদন কেন্দ্রে গিয়ে আনন্দে সামিল হবে। অভিজাত কোনো রেস্টুরেন্ট কিংবা শপিং মলে গিয়ে খাওয়া বা কেনাকাটা তো দূরের কথা, কখনো ঢুকতে পারবে— এমনটিও আসে না তাদের চিন্তায়। এমন অসহায় ৬০ পথশিশুকেই চট্টগ্রামের একটি অভিজাত সুপারশপে নিয়ে পছন্দমতো বাজার করার সুযোগ করে দিয়েছে নগর পুলিশ।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে এই শিশুদের নগরীর গোলপাহাড় মোড়ে ‘স্বপ্ন’ সুপারশপে নিয়ে যান সিএমপি কমিশনার সালেহ মো. তানভীর। পথশিশুদের নিয়ে ভিন্নধর্মী এই আয়োজনটি করে সিএমপির উত্তর বিভাগ।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) বিজয় কুমার বসাক সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইলমুল কোরান একাডেমি, প্রবর্তক সংঘ, বকুলতলা বস্তি ও টাইগারপাস বস্তি থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশু বাছাই করে তাদের সুপারশপ থেকে বাজার করার সুযোগ করে দিয়েছি। সিএমপির উত্তর বিভাগের সদস্যরা তাদের বেতন থেকে পথশিশুদের জন্য কন্ট্রিবিউট করেছে। স্বপ্ন সুপারশপও সহযোগিতা করেছে। বারকোড রেস্টুরেন্ট প্রত্যেক শিশুকে চার জনের সমপরিমাণ দুপুরের খাবারের প্যাকেট দিয়েছে। সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান যাত্রী ছাউনিও আমাদের এই কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা দিয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুগুলো সামান্য সময়ের জন্য যে পরিমাণ আনন্দ উপভোগ করেছে, তাতে আমরা উৎসাহ পেয়েছি। আমরা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করব।’
প্রথমবারের মতো সুপারশপে ঢুকে বাজার করার সুযোগ পাওয়ার উচ্ছ্বাস ছিল এই শিশুদের চোখেমুখে। কেউ কিনেছে খেলনা, কেউ চকলেট, কেউ অন্য খাবার।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মো. তানভীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সেতুবন্ধন তৈরি করতেই নানা উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি। পথশিশুদের দূরে ঠেলে না দিয়ে কাছে টেনে নিলে, তাদের সমাজের সুবিধাবানদের কাতারে নিয়ে যেতে পারলে তারা মাদক ও কিশোর অপরাধ থেকে দূরে থাকবে।’
এসময় সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম, এস এম মোস্তাক আহমদ খান ও শ্যামল কুমার নাথ উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ পথশিশু সিএমপি সিএমপি কমিশনার সালেহ মো. তানভীর সুপারশপ সুপারশপে বাজার