‘কালো টাকা সাদা করতে’ ১১ টন ঘোষণায় আধাটন পণ্য রফতানি
২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:৪৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘোষণার চেয়ে অস্বাভাবিক কম পরিমাণে খাদ্যপণ্য রফতানির চেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি ডিপো থেকে দু’টি কনটেইনার আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বৈধ করার জন্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান এই কৌশল নিয়েছিল বলে ধারণা কাস্টমস কর্মকর্তাদের।
জালিয়াতি শনাক্তের পর বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম।
রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে ঢাকার মতিঝিলের বাংলা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হচ্ছে চট্টগ্রাম নগরীর গোসাইলডাঙ্গার আর ইসলাম এজেন্সি।
কাস্টম কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, ১ লাখ ৩ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন তৈরি খাদ্যসামগ্রীতে বোঝাই দু’টি কনটেইনারের দু’টি চালান মালয়েশিয়ায় রফতানির কথা বলে গত ১৮ ডিসেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর পৃথক দু’টি বিল অব এক্সপোর্ট কাস্টমসে দাখিল করে ইসলাম এজেন্সি। নগরীর উত্তর পতেঙ্গার ইস্টার্ন লজিস্টিকস ডিপোতে কনটেইনার দু’টি রাখা হয়। সেগুলো জাহাজে তোলার অপেক্ষায় ছিল।
এর মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন ও রিসার্চ টিম (এআইআর) কনটেইনার দু’টি খুলে কায়িক পরীক্ষা করে। এতে দেখা যায়, উভয় কনটেইনারের সামনে মুড়ি, ড্রাইকেক, টোস্টের কার্টন সাজিয়ে রাখা হলেও ভেতরে পুরো খালি। প্রত্যেক কনটেইনারে ১১ মেট্রিক টন করে পণ্য থাকার কথা ছিল। কিন্তু কাস্টমস কর্মকর্তারা পেয়েছেন মাত্র আধা মেট্রিক টন করে পণ্য।
সহকারী কাস্টমস কমিশনার রেজাউল করিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ডিপো কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, বিল অব এক্সপোর্ট অনুযায়ী পণ্য তারা বুঝে নিয়েছিলেন কি না। তারা জানিয়েছেন, তখন বুঝে নিয়েছিলেন। কিন্তু কনটেইনারে ঘোষণার চেয়ে কম পণ্য পাওয়ার বিষয়ে তারা কোনো সঠিক জবাব আমাদের দিতে পারেননি। আমাদের ধারণা, অপ্রদর্শিত অর্থ সাদা করার উদ্দেশে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ একটি চক্র এই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে।’
কালো টাকা খাদ্যপণ্য রফতানি ঘোষণার তুলনায় কম পণ্য রফতানি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ বাংলা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড