ইথিওপিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় শতাধিক মৃত্যু
২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:০১
ইথিওপিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি গ্রামে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসি।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ অঞ্চলের বেকোজি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ক্লিনিকের এক নার্স জানান, হামলায় আহত ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে কারও কারও অবস্থা গুরুতর। আহতদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ। বাকিরা ছুরিকাহত।
এদিকে, এক বিবৃতিতে ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে – সশস্ত্র ব্যক্তিদের গুলি ও অগ্নিসংযোগে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
তবে, কারা এ হামলা চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হওয়া না গেলেও, রাজ্য সরকারের মুখপাত্র বিয়েনি মেলেসি হামলায় দায় দিয়েছেন শান্তি বিরোধীদের।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ অঞ্চল সফর করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। সফর শেষে টুইটারে আবি আহমেদ লিখেছিলেন – শত্রুদের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে ইথিওপিয়াকে জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করা। তাদের ওই আকাঙক্ষা কখনও পূরণ হবে না।
The desire by enemies to divide Ethiopia along ethnic & religious lines still exists. This desire will remain unfulfilled. In discussions with residents of Metekel, the expressed will of our people for unity, peace, development and prosperity far outweighs any divisive agenda. pic.twitter.com/DYlnCNH0tc
— Abiy Ahmed Ali 🇪🇹 (@AbiyAhmedAli) December 22, 2020
তারপরই এই হত্যাকাণ্ড ঘটলো।
বিবিসি জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের পর থেকে ইথিওপিয়ার বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ অঞ্চল অন্তত চারটি প্রাণঘাতী হামলার সাক্ষী হয়েছে। এর মধ্যে, নভেম্বরে যাত্রীবাহী বাসে বন্দুকধারীদের হামলায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর সঙ্গে, তিগ্রাইয়ে সরকারি বাহিনীর অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
ওদিকে, ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সঙ্গে সরকারিবাহিনীর নভেম্বরের সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংঘাতের কারণে তিগ্রাইয়ের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয়ও নিতে হয়েছে।