সাংবাদিক কাজল মুক্তি পাচ্ছেন শুক্রবার
২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৪৮
ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় দায়ের করা তিন মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বেইল বন্ড জমা (জামিননামা) জমা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামীকাল শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন বলে আশা করছেন তার আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সাংবাদিক কাজলের আইনজীবী জায়েদুর রহমান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ জামিননামা জমা দেন।
জায়েদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সাংবাদিক কাজলের জামিননামা আদালতে জমা দিয়েছি। আশা করছি আগামীকাল (শুক্রবার) তিনি মুক্তি পাবেন।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ পেতে দেরি হওয়ার কারণে জামিননামা জমা দিতে দেরি হয়েছে।
সাংবাদিক কাজলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৯ অক্টোবর রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। পরে গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ দুই মামলায় কাজলকে জামিনের আদেশ দেন। এর আগে, রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় গত ২৪ নভেম্বর কাজল জামিন পান হাইকোর্ট থেকে।
গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম মামলাটি করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানী হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা আরও দু’টি মামলায় আসামি করা হয় কাজলকে।
এর মধ্যে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর হাতিরপুলের পক্ষকাল অফিস থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন শফিকুল ইসলাম কাজল। তাকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে ১৮ মার্চ রাতে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক। নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে কাজলকে আটক করে বিজিবি। এরপর থেকে কাজল কারাগারে আটক ছিলেন।
কাজলকে বিজিবি আটক করার পর বেনাপোল থানায় অনুপ্রবেশের মামলা করা হয়। ৩ মে সেই মামলায় জামিন পান তিনি। তবে ঢাকায় দায়ের করা তিন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়। এসব মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর করেছিলেন আদালত। পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। বেনাপোল থেকে আটকের সাড়ে সাত মাস পর সবগুলো মামলায় জামিন পেলেন তিনি। তবে কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাকে।
কারামুক্তি জামিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা শফিকুল ইসলাম কাজল সাইবার আইনে মামলা সাংবাদিক কাজল