কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত হয়ে মৃত চিকিৎসকদের আর্থিক সহায়তা শিগগিরই
২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:৫৯
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে যেসব সরকারি চিকিৎসক মারা গেছেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও দেশে আঘাত হানেনি। আমরা ভালো আছি, ভালো থাকতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইউরোপের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা অনেক ভালো। মৃত্যুর হারও কম। এর জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকরা অব্যাহতভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ৮০ শতাংশ রোগী বাসায় থেকে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়ে ভালো হয়েছেন। ২ হাজার ডাক্তার ও ১৫০০ নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বল্প সময়ে। করোনার চিকিৎসা দিতে গিয়ে মারা যাওয়া সরকারি চিকিৎসকের তালিকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, এ বিষয়টি চূড়ান্ত পযার্য়ে রয়েছে, কিছু দিনের মধ্যে তারা সরকার ঘোষিত অর্থ পেয়ে যাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে পৃথিবীর মধ্যে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এই কাজ সম্ভব হয়েছে, চিকিৎসকদের মাধ্যমে, তাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই কাজ করা সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য নেতৃত্বের কারণে করোনা চিকিৎসা দিতে পারেছি এবং নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।’
ভ্যাকসিন বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশে অক্সফোর্ডের তিন কোটি করোনার ভ্যাকসিন আসবে। এখন ভ্যাকসিন তৈরি ও অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণে সব প্রস্তুতি রেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার শুরুতে এই ভাইরাস বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। আমরা চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। বর্তমানে ১৬৩ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সকল সংকট কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান। এতে বক্তব্য দেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ অন্যরা।