পরিবহনচালক থেকে লোভে পড়ে ডাকাত, ডিবির জালে ধরা
২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:১৮
ঢাকা: চক্রটির সদস্যরা প্রত্যকেই কোনো না কোনো পরিবহনের চালক ছিলেন। আরও বেশি টাকা উপার্জনের লোভে পড়ে বছর পাঁচেক হলো বিভিন্ন পরিবহনে ডাকাতি শুরু করে চক্রটি। দীর্ঘদিন বিভিন্ন পরিবহনে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় খুব সহজে যাত্রী সেজে ডাকাতি শুরু করতেন চক্রের সদস্যরা।
সবশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় যাত্রী সেজে এ কে ট্রাভেলসের একটি বাসে ডাকাতি করে চক্রটি। ২০ ডিসেম্বর এ ঘটনায় আদাবর থানা একটি মামলা হয়। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়েই রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর,গাবতলী ও সাভারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) ডিবি তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. আনিছ উদ্দীন এসব তথ্য জানান। গ্রেফতার সাত জন হলেন— মো. ফকরুল কবির শান্ত (২৩), মো. রফিক (২৬), মো. রিয়াজ (২৪), মো. রাসেল (২৭), মো. শাহজামাল (৩০), হারুন অর রশীদ (২৩) ও মো. হুমায়ন কবির (২৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত তিনটি ছুরি, তিনটি চাপাতি, একটি সুইচ গিয়ার, দুইটি ওয়াকিটকি, ১০টি মোবাইল ফোন ও ডাকাতি করে পাওয়া নগদ ছয় হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
আনিছ উদ্দীন বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে শ্যামলী এলাকা থেকে যাত্রী সেজে এ কে ট্রাভেলসের একটি বাসে ওঠেন ডাকাত দলের সদস্যরা। বাসে উঠে প্রথমেই তারা বাসের ড্রাইভার, সুপারভাইজার ও হেলপারের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলেন। এরপর ডাকাতদের একজন গাড়িটি চালাতে থাকেন। তারা বাড্ডা ও কুড়িলসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাস নিয়ে ঘুরে ঘুরে যাত্রী তোলেন। যাত্রীরা বাসে ওঠার পর দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন। পরে এ ঘটনায় আদাবর থানায় একটি মামলা হয়। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আমরা গ্রেফতার করি।
উপপুলিশ কমিশনার আনিছ উদ্দিন আরও বলেন, চক্রটির সদস্যরা একসময় বাস চালক ছিল। তাই তারা ডাকাতির জন্য বিভিন্ন পরিবহনকে বেছে নেয়। এছাড়াও তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা রকম কায়দায় তারা ডাকাতি করে আসছে। চক্রটির মোট সদস্য ২০ জন। এর মধ্যে সাত জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের প্রত্যেকের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার খোঁজ পাওয়া গেছে। সেসব মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।