দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ান – বড়দিনের বার্তায় পোপ
২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৩৮
করোনা মহামারি প্রতিরোধে আরোপিত নানা বিধিনিষেধের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। খবর রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) এক ভাষণে পোপ ফ্রান্সিস বিশ্ববাসীকে নিজ দায়িত্বে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার প্রধান অংশ নয় বরং পেছন দিকের একটি অংশে এ বছর ‘ক্রিসমাস ইভের ম্যাস’ অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত প্রতিবছর বড়দিনের দশ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন এ বছর অনুষ্ঠানে একশ জনের কম মানুষ অংশ নিয়েছেন। এবার নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগে ‘ম্যাস’ শুরু হয়। যেন অংশগ্রহণকারীরা রাত ১০টায় কারফিউ শুরুর আগেই বাড়িতে ফিরতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বড়দিনের বার্তায় পোপ বলেন, ঈশ্বরের পুত্র নিজেও দরিদ্র এবং সমাজচ্যুত মানুষদের মধ্যে জন্ম নিয়েছেন। তার মধ্য দিয়ে তিনি বলতে চেয়েছেন, সমাজচ্যুতরাও ঈশ্বরেরই সন্তান। দারিদ্র এবং প্রয়োজনের মধ্য দিয়েই ঈশ্বর আমাদের মাঝে আসেন এবং বলেন, গরীবদের সেবা করার মাধ্যমেই ঈশ্বরের প্রতি আমাদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে পারবো।
অন্যদিকে, ইতালিতে বড়দিন এবং নববর্ষের ছুটির পুরো সময়েই দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। জরুরি নয় এমন সব দোকান ২৪-২৭ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর-৩ জানুয়ারি এবং ৫ ও ৬ জানুয়ারি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লোকজন শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রে যেতে এবং স্বাস্থ্য ও জরুরি প্রয়োজনে ওই সময় বাড়ির বাইরে যেতে পারবে।
যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, সাধারণ মানুষ সেন্ট পিটার্স স্কয়ার বা ব্যাসিলিকায় যেতে পারবেন না। আর ২৪ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের অনুষ্ঠান বাড়ির ভেতরে আয়োজন করতে হবে। অতিথি সংখ্যাও অত্যন্ত সীমিত করে দেওয়া হয়েছে। সব আয়োজন টেলিভিশনে বা ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
ক্রিসমাস ইভ পোপ ফ্রান্সিস বড়দিন ব্যাসিলিকায় সেন্ট পিটার্স স্কয়ার