এক বছরে ২২ হাতির মৃত্যু, অধিকাংশই ‘পরিকল্পিত হত্যা’
২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:২৯
চট্টগ্রাম: বন্যহাতি হত্যা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের প্রাণী সংরক্ষণকর্মী, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। তারা বলেছেন, গত একবছরে দেশে ২২টি হাতি মারা গেছে। যার অধিকাংশই পরিকল্পিত হত্যার শিকার। এভাবে হত্যা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই হাতিশূন্য হবে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে ‘বিপন্ন এশিয়ান হাতি রক্ষায়’ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় সম্মিলিত আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন। এতে প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে গণসচেতনতা তৈরিতে জড়িত আরও কয়েকটি সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের বনবিভাগ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইইউসিএন’র সর্বশেষ জরিপের তথ্য অনুযায়ী দেশে এশিয়ান বন্যহাতি আছে ২৬৮টি। দেশের সীমান্তবর্তী পাঁচটি বনাঞ্চলে ৯৩টি পরিযায়ী হাতি বিচরণ করে। এছাড়াও সরকারের অনুমতিক্রমে দেশে ১০০টি পোষা হাতি আছে। কিন্তু দিন দিন মারা যাওয়ার ঘটনা বাড়ছে আর হাতির এই পরিসংখ্যন কমছে।’
তারা আরও বলেন, ‘গত একবছরে দেশে ২২টি হাতি মারা গেছে। এর মধ্যে চলতি মাসে মারা গেছে চারটি হাতি। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছে, হাতিগুলোকে গুলি করে, বিষ প্রয়োগ অথবা বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে হাতি হত্যা করা হলে, বাংলাদেশ থেকে শিগগিরই এই প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
বক্তারা বন্যহাতি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও হাতির পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দাবি করেছেন। এছাড়া হাতির প্রাকৃতিক চলাচলের পথ, খাবার ও পানির উৎস রক্ষায় গহীন বনে প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ, অভয়ারণ্যসহ বনে পর্যাপ্ত খাদ্য শৃঙ্খল গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মিঠু এবং সহযোগী সদস্য আ ন ম মোয়াজ্জেম হোসেন রিয়াদ।