বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক: সাইফুল হক
২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:৩৯
ঢাকা: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘জাতীয় অর্থনীতিকে কৃষক ও কৃষিখাত বিরাট অবদান রাখলেও দেশের রাজনীতি ও নীতিনির্ধারণে তার প্রতিফলন নেই। সরকারসহ সবাই উৎপাদনশীলতার জন্য কৃষকদের প্রশংসা করে, কিন্তু তাদেরকে প্রয়োজনীয় আর্থিক প্রণোদনা ও সহযোগিতা দেয় না। কৃষি বাজার কৃষি উৎপাদকদের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় ফসলের লাভজনক মূল্য থেকে কৃষকেরা বঞ্চিত হয়ে আসছে। উৎপাদক চাষীরা কিনতেও ঠকে আবার বেচতেও ঠকে।’
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিপ্লবী কৃষক সংহতির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথ বলেন।
সংগঠনের সভাপতি কৃষক নেতা আনছার আলী দুলালের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ।
উদ্বোধনী সমাবেশ ও র্যালির পর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে সংগঠনের কাউন্সিল অধিবেশ শুরু হয়েছে। শুরুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। কাউন্সিলে আন্দোলনগত ও সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আনছার আলী দুলাল।
সাইফুল হক বলেন, ‘বাম্পার উৎপাদনের জন্য কৃষকদের পুরস্কৃত না করে পরোক্ষভাবে তাদেরকে ঠকিয়ে শাস্তি দেবার ব্যবস্থা করা হয়। অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও নগরায়নে ফসলী কৃষি জমি ধ্বংস হচ্ছে। সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে ভূমিগ্রাসীরাও কৃষি জমি নষ্ট করছে।’
তিনি বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদনে আমাদের ১০০ ভাগ স্বাবলম্বীতা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও নীতি কৌশলের অভাবে ও লুটেরা পুঁজিপতিদের দৌরাত্মে আজ পাটচাষী-আখ চাষীসহ কৃষিভিত্তিক শিল্প মহাসংকটে নিমজ্জিত হয়েছে। এদের হাত থেকে পাট ও চিনিশিল্পসহ কৃষি রক্ষা করা আজ জাতীয় কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, জাতীয় সংসদসহ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আজ কৃষকের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব নেই।তিনি এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আমূল ভূমি ও কৃষি সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে কৃষক আন্দোলন-কৃষক জাগরণের ডাক দেন।
কাউন্সিলে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী, বিপ্লবী কৃষক সংহতির সদস্য সচিব আবু হাসান টিপু, সংহতি সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি ইফতেখার আহমেদ বাবু, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, খেতমজুর ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব সরকার রতন ও বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির রোকসানা আক্তার প্রমুখ।
কাউন্সিলে গৃহীত এক প্রস্তাবে ভারতে মোদি সরকারের কৃষি বিরোধী নীতির প্রতিবাদে দিল্লী অবরোধকারী কৃষক আন্দোলনের প্রতি সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করা হয় এবং অবিলম্বে কৃষকদের বাঁচার দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।