কিছু সিনিয়র নেতার আশ্রয়ে বহিরাগতরা আ.লীগে: নাছির
২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৪০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কিছু সিনিয়র নেতা আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগের ভেতর বহিরাগত ও অবাঞ্ছিত লোকজন ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সদ্যপ্রয়াত এস এম আলমগীরের শোকসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনের চত্বরে এ সভা হয়েছে।
নাছির বলেন, ‘কিছু সিনিয়র নেতার আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে দলের ভেতরে বহিরাগত ও অবাঞ্ছিত লোকজন ঢুকে পড়েছে। এরা দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এদের শনাক্ত করে বহিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি যারা কুমতলবে এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন তাদেরও সাংগঠনিক শাস্তির আওতায় আনার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করা হবে।’
‘আমাদের মধ্যে নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা থাকবেই, কিন্তু সেটা সুশৃঙ্খলভাবে দলীয় ও সাংগঠনিক বিধিবিধান মেনে হতে হবে। দলে শুদ্ধি অভিযান চলছে। আমাদের উচিৎ হবে পরস্পরবিরোধী পরনিন্দা, পরচর্চা ও সমালোচনা না করা। এটা কিছুতেই শোভনীয় নয় বরং আত্মঘাতী। এর চেয়ে বরং বেশি প্রয়োজন আত্মসমালোচনা করা। এতে নিজে শুদ্ধ হওয়া যায় এবং দলের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নগর আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটি এবং বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কোনো কোনো কমিটির মেয়াদ ১০-১২ বছর আগে শেষ হয়েছে। অনেক পরীক্ষীত নেতাকর্মী পদ পাচ্ছে না, তারা হতাশ হয়ে পড়ছে। আজ এস এম আলমগীর ভাই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। এই করোনাকালে মহানগর স্তর থেকে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে আমরা ৬৪ জন নেতাকর্মীকে হারিয়েছি, যারা দলের সম্পদ ছিলেন।’
এদিকে বহিরাগতদের ভিড়ে আওয়ামী লীগের ভেতর দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বলে একই শোকসভায় মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
মাহতাব বলেন, ‘দল একযুগের কাছাকাছি ক্ষমতায়। অনেক সুযোগ-সন্ধানী, বহিরাগত দলে ঢুকে পড়েছে। তাদের জন্য পরীক্ষিত, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা আজ দলের ভেতরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এটি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ দুঃসময়ের নেতাকর্মীরাই দলের মূল সম্পদ। তারা কখনো আদর্শচ্যুত হতে পারেন না। আমরা তাদেরকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে চাই এবং নেতৃত্বের আসনে আনতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘এস আলমগীর অকালে ঝরে গেলেন। তিনি সংগঠনের দুঃসময়ের কাণ্ডারী ছিলেন। তার মতো একজন নেতার মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা কাজী আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং জহুরুল আলম জসিম ও এরশাদ মামুনের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সদস্য বেলাল আহমেদ, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী।