Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উপসর্গযুক্ত রোগী না থাকায় কম হচ্ছে অ্যান্টিজেন টেস্ট!


২৮ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:০৪

ঢাকা: দেশে অল্প সময়ে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত করার মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার গতি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে দেশে চালু হয়েছে অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে পরীক্ষা। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল— নমুনা দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফল জানা সম্ভব হবে বলে এ পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা বাড়বে। কিন্তু তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও অ্যান্টিজেন টেস্টে মেলেনি আশানুরূপ সাড়া। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সব শেষ তথ্য বলছে, ২৪ দিনেও এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা ১৬শ পেরোয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট বলে নয়, সাধারণভাবেই করোনা পরীক্ষা করা নিয়ে মানুষের মধ্যে একধরনের নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রচারণা যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি আরও বেশি বেশি করোনা পরীক্ষা করাতে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অ্যান্টিজেন টেস্টকে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে স্ক্রিনিংয়ের কাজে ব্যবহার করার পক্ষেও মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিজ্ঞাপন

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য শুরু থেকেই করোনা পরীক্ষার সংখ্যা ও আওতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের প্রায় ৯ মাস পর গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকার বাইরে ১০টি জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। আরটি-পিসিআর ল্যাব সুবিধা নেই— এমন জেলাগুলোকে প্রাধান্য দিয়েই মূলত এই ১০ জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। পরে ১৮ ডিসেম্বর থেকে দেশের আরও ১৭টি জেলা ও ঢাকার দুইটি উপজেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু এই সময়ে দেখা যায়, শুরুর পর গত ২৪ দিনের মধ্যে মাত্র চার দিন ১০০ বা তার চেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে।

দেশে ৫ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর সময়ে ল্যাবভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জয়পুরহাট জেলায় ২০৯টি অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে ৩০ জনের মধ্যে। মাদারীপুরে ৬৫টি অ্যান্টিজেন টেস্টে শনাক্ত হয়েছেন ১০ জন। সিলেট শহিদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালে ১৫০টি অ্যান্টিজেন টেস্ট করে ৪০ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ৮৫টি অ্যান্টিজেন্ট টেস্টে শনাক্ত হয়েছেন আট জন। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১২০টি টেস্টে শনাক্ত হয়েছেন ১৫ জন। মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৭৬টি অ্যান্টিজেন টেস্টে শনাক্ত হয়েছেন ছয় জন। এছাড়া পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ৪৮টি টেস্টে ১০ জন, মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ২০০ টেস্টে ৪০ জন, পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬৬টি টেস্টে তিন জন এবং গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ২৭২টি টেস্টে ৩৮ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এসব জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয় গত ৫ ডিসেম্বর।

গত ১৮ ডিসেম্বর দেশে আরও ১৭টি জেলা ও ঢাকার দুই উপজেলায় করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হয়। এসব ল্যাব থেকে পাওয়া তথ্য থেকে দেখা যায়, বান্দরবান সদর হাসপাতালে ১০টি অ্যান্টিজেন টেস্টে তিন জন, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আটটি টেস্টে তিন জন, মাগুরা সদর হাসপাতালে সাতটি টেস্টে একজন, নওগাঁ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ১২টি টেস্টে দুই জন, লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ১৭টি টেস্টে তিন জন, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ১১টি টেস্টে দুই জন, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮টি অ্যান্টিজেন টেস্টে তিন জন এবং ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঁচটি টেস্টে একজনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

এই সময়ে হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ৯টি অ্যান্টিজেন টেস্টে একজন, কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১৮টি অ্যান্টিজেন টেস্টে একজন, নাটোর সিভিল সার্জন অফিসে ১৬টি অ্যান্টিজেন টেস্টে দুই জন, নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে ২২ অ্যান্টিজেন টেস্টে দুই জন, পাবনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৭০টি অ্যান্টিজেন টেস্টে ছয় জন ও সুনামগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ৪১টি অ্যান্টিজেন টেস্টে একজনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এছাড়া, কেরাণীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫টি, নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে সাতটি, শরিয়তপুর সদর হাসপাতালে দুইটি ও মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ১০টি অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হলেও এখনো কারও মধ্যে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। আর অনুমতি থাকলেও পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কোনো অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়নি।

সিভিল সার্জনরা যা বলছেন

জানতে চাইলে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভৌগোলিক কারণে যশোরে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। দেশের অন্যতম বৃহৎ স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও রেলওয়ে স্টেশনও কিন্তু যশোরে। তাই আমরা র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে আশা করেছিলাম করোনা পরীক্ষা বাড়বে। একইসঙ্গে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টিও সহজ হবে। কিন্তু উপসর্গ প্রকাশ না পেলে আমরা অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পরামর্শ দিতে পারি না। এক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক সময় সর্দি, কাশি থাকলেও জ্বর না থাকলে নমুনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন না চিকিৎসকরা। দেখা যায় অনেকের সর্দি-কাশি গলাব্যথা আছে, কিন্তু অনেকের আবার জ্বর নেই। সেই সময়েও আসলে চিকিৎসকরা অ্যান্টিজেন টেস্ট করার পরামর্শ দিতে পারেন না।’

তিনি বলেন, ‘যশোরে আগে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু বর্তমানে আমাদের এখানেই অ্যান্টিজেন টেস্ট করা যাচ্ছে। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রচারণা চালানো হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমি নিজে গেছি। কিন্তু উপসর্গ না থাকলে যেহেতু আমরা সবার নমুনা পরীক্ষা করতে পারি না, তাই সংখ্যা এখনো তেমনভাবে বাড়ছে না।’

সিলেট জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে শামসুদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। যেহেতু উপসর্গ থাকলেই কেবল পরীক্ষা করা হচ্ছে, তাই সংখ্যাটা কিছু কম মনে হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে প্রচারণার কোনো অভাব আছে বলে মনে হয় না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিরোজপুরের সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি পেলেও এখন পর্যন্ত আমরা কারও নমুনা পরীক্ষা করাতে পারিনি। কারণ এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে হাসপাতালে এমন কোনো উপসর্গ যুক্ত রোগী আসেনি, যাদের আমরা অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে পারি। এক্ষেত্রে যদি উপসর্গযুক্ত কোনো রোগী আসে, তাহলে আমরা অবশ্যই অ্যান্টিজেন টেস্ট করাব।’

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

দেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট দিয়ে খুব দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। ধরুন একজন রোগী হাসপাতালে সার্জারির জন্য এসেছেন। সেক্ষেত্রে তার কোভিড-১৯ সংক্রমণ আছে কি না, তা দ্রুত দেখার জন্য অ্যান্টিজেন টেস্ট করা যেতে পারে। এজন্যই আমরা এই পদ্ধতির বিষয়ে সুপারিশ করেছিলাম, যেন দ্রুত পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ-নেগেটিভ চিহ্নিত করা যায়। কিন্তু অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করেও পরীক্ষা শেষ পর্যন্ত বাড়েনি।’

এর কারণ কী হতে পারে— এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. নজরুল বলেন, ‘দেশে শুরু থেকেই নমুনা পরীক্ষা নিয়ে এক ধরনের স্টিগমা রয়েছে মানুষের মধ্যে। সেটি সম্ভবত এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে তাই নমুনা পরীক্ষা নিয়ে মানুষের মাঝে এক ধরনের অনীহা আছে। তাছাড়া কোভিড-১৯ নিয়ে সাধারণভাবেই মানুষের মধ্যে ঢিলেঢালা ভাব রয়েছে। সবাই হয়তো ভ্যাকসিনের আশায় আছে। কিন্তু ভ্যাকসিন কতটুকু সুরক্ষা দেবে, সেটি কিন্তু কেউই নিশ্চিত নয়। বলা যায়, এসব কারণেই অল্প সময়ে ফলাফল পাওয়া গেলেও অ্যান্টিজেন টেস্টের পরিমাণ তেমন বাড়ছে না।’

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘উপসর্গ ছাড়া যদি কারও অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়, তবে তার যদি কোভিড-১৯ সংক্রমণও থেকেও থাকে তা কিন্তু শনাক্ত হবে না। উপসর্গবিহীন রোগীদের সচরাচর অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় শনাক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমাদের দেশে যেখানে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন আছে ও উপসর্গযুক্ত রোগী আছে, তাদের পরীক্ষা করালে শনাক্ত হবে।’

তিনি বলেন, ‘যদি অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়াতে হয়, তাহলে যেসব এলাকায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশন আছে সেসব এলাকার উপসর্গযুক্ত মানুষদের খুঁজে বের করতে হবে। কারণ উপসর্গযুক্ত অনেক মানুষ কিন্তু এখনো নমুনা পরীক্ষা করাতে আসছে না, এটাই বাস্তবতা। এর পেছনে কারণও আছে। একটা নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ কিন্তু আইসোলেশনে যেতে ভয় পায়। তারা ভাবে— করোনা পজিটিভ হলে আইসোলেশনে থাকতে হবে, আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। সামাজিকভাবেও হেয় হওয়ার ভয় থাকে। এই কারণে তাদের ভয়ের জায়গা ভাঙাতে হবে, যেন উপসর্গ থাকলেই নমুনা পরীক্ষা করাতে আসে। তখন দেখা যাবে অন্তত হাসপাতালে আর শেষ মুহূর্তে কেউ চিকিৎসা নেওয়া জন্য আসবে না। এই জন্য আসলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে নমুনা পরীক্ষার জন্য। একইসঙ্গে কাউকে আইসোলেশনে পাঠাতে হলে তার জন্য সামাজিক সহায়তাও দিতে হবে।’

চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে যখন কোনো রোগী অন্য কোনো রোগ নিয়ে সার্জারি বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে আসে, ওই সব রোগীদের উপসর্গ থাকলে অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো যেতে পারে। আমাদের দেশে কিন্তু অনেক রোগী উপসর্গবিহীন। এ কারণে দেখা যাচ্ছে জেনারেল ওয়ার্ডে কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগীও ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। এটি সংক্রমণ ছড়ানোর একটি বড় কারণ। এজন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা হাসপাতালে ভর্তির আগে স্ক্রিনিংয়ের জন্য অ্যান্টিজেন টেস্ট করা গেলে ভালো হতো। পজিটিভ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে আইসোলেশন করানো সম্ভব সেক্ষেত্রে।’

ডা. লিয়াকত বলেন, ‘কেবল উপসর্গের জন্য যদি অপেক্ষা করা হয়, তাহলে অ্যান্টিজেন টেস্টের প্রায়োগিক কার্যকারিতা নিয়েও কিছুটা প্রশ্ন থেকেই যায়। প্রি-সিম্পটমেটিক পর্যায়েও অ্যান্টিজেন টেস্ট করা যেতে পারে। কারণ যেখানে সংক্রমণের মাত্রা বা হার কম, সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্টের পজিটিভিটির মাত্রা অনেক কমই পাওয়ার কথা। তাই বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যদি স্ক্রিনিংয়ের জন্য অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয় ট্রায়ালের জন্য, তাহলে এটার ইউটিলিটি অনেক বেড়ে যাবে নিশ্চিতভাবে। শুধু তাই নয়, কমিউনিটি টেস্টিং বা ফ্যাসিলিটি টেস্টিংয়ের জন্যও অ্যান্টিজেন টেস্ট করা যেতে পারে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও এমআইএস শাখার পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দেশে উপসর্গযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রেই কিন্তু অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারণার কোনো অভাব আছে বলে মনে হয় না। তবে মানুষকে টেস্ট করার বিষয়ে আসলে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আশা করছি কেউ যদি উপসর্গ টের পেয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করাতে আসবেন। তবে এক্ষেত্রে উপসর্গ ছাড়া কাউকে অ্যান্টিজেন টেস্ট গণহারে করতে দেওয়া যাবে না।’

অ্যান্টিজেন করোনা করোনা পরীক্ষা কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর