Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধর্ষণ মামলা ২৫ হাজার টাকায় আপস, বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ


২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৮:৫৭

ঢাকা: আসামির সঙ্গে আপস করায় ধর্ষণ মামলার বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আসামি টাঙ্গাইলের সারুটিয়া এলাকার আলী হোসেনকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন মো. মজনু মোল্লা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় আসামি আলী হোসেনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ৮ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় আপস করে আদালতে অঙ্গীকারনামা দেন বাদী। কিন্তু বিদ্যমান আইনে এ ধরনের গুরুতর অপরাধের মামলায় আপসের সুযোগ নেই। এ কারণে এ ঘটনা সত্য হলে মিথ্যা তথ্য সরবরাহের দায়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন আদালত।’

শুনানিতে আদালত বলে, বিদ্যমান আইনে এ ধরনের গুরুতর অপরাধের মামলা আপসের সুযোগ নেই।

আসামির সঙ্গে আপোসের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে টাঙ্গাইল সদর ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া উচ্চ আদালতে জামিন আবেদনে বাদীর দাখিলকৃত অঙ্গীকারনামার সত্যতা পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন আদালত।

গত ২২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের সারুটিয়ায় ভাড়া বাসায় রাত আটটার দিকে ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় আলী হোসেনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন ওই নারী।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণে জানা যায়, বাসা পরিবর্তনের সময় ওই নারীর স্বামীকে ১ হাজার টাকা ধার দেয় আসামি। এই টাকা নেওয়ার জন্য আসামি বিভিন্ন সময়ে বাদীর বাসায় আসত। একদিন বাদীর স্বামী বাসায় না থাকার সুযোগে আসামি জোরপূর্বক বাদীকে ধর্ষণ করে। বর্তমানে মামলাটির তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে।

তবে গত ৮ ডিসেম্বর আসামির সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় আপোস করে অঙ্গীকারনামা দেন বাদী। সেখানে তিনি বলেছেন, আলী হোসেন পাওনা ১ হাজার টাকার জন্য ভাড়াটিয়া বাসায় আসলে আমার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। যার সূত্র ধরে তার বিরুদ্ধে স্বামীর কথায় বাধ্য হয়ে মিথ্যা মামলা করি। পরে স্থানীয় মাতব্বর ব্যক্তিবর্গ এবং আইনজীবীর পরামর্শে মামলাটি আপস মীমাংসা করি। এই আপসের কারণে আসামিপক্ষ আমাকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করে। আসামির বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নাই। অঙ্গীকারনামামূলে মামলাটি নিষ্পত্তি হলে আমার কোনো আপত্তি থাকবে না।

এরপর আদালত টাঙ্গাইল সদর থানার ওসিকে আপোসের বিষয়টি তদন্ত করে বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

টপ নিউজ টাঙ্গাইল ধর্ষণ মামলা বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর