Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যবসায়িক হিসাবে ৩৩ লাখ, ভ্যাট অফিসে দেখাল ৩৩ হাজার টাকা


২৯ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:০১

ঢাকা: রাজধানীর একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী একমাসে ৩৩ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করে ভ্যাট কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রয় দেখিয়েছেন ৩৩ হাজার টাকা। অভিযানে এমন তথ্য মিলেছে বলে জানায় ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি জানান, করোনার অজুহাতে দোকানে বিক্রয় নেই মর্মে ভ্যাট সার্কেলকে জানিয়েছিল ওই ফার্নিচার ব্যবসায়ী। ‘ডাবল অ্যাকাউন্টিং’ এর পার্থক্যের এই চিত্র দেখে গোয়েন্দারাও বিস্মিত হয়। কারণ ওই সময়ে করোনার ছোবলের আঘাত ছিল। একজন কাস্টমারের দায়ের করা অভিযোগে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল ২৮ ডিসেম্বর এই অভিযান পরিচালনা করে।

তিনি আরও জানান, ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর অভিযোগটি আমলে নিয়ে জৈনপুর ফার্নিচার নামের ওই প্রতিষ্ঠানটিতে অনুসন্ধান করে। এতে দেখা যায়, মিরপুরের রোকেয়া স্মরণিতে প্রায় এক বিঘা জায়গার ওপর গড়ে ওঠা সুদৃশ্য এই ফার্নিচারের দোকান বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে। ওই দোকানের ভাড়া ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। শোরুমে ফার্নিচার অতি উন্নতমানের ও দামি ব্রান্ডের।

মইনুল খান জানান, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধিত হলেও ভুয়া ও ডুপ্লিকেট চালান ব্যবহার করে ফার্নিচার বিক্রয় করছে। ভ্যাটের জন্য তারা ভিন্ন ভিন্ন অ্যাকাউন্টস সংরক্ষণ করছে। এতে স্থানীয় ভ্যাট সার্কেলে প্রকৃত বিক্রয় গোপন রেখে নামমাত্র বিক্রির তথ্য ঘোষণা করছে। ফলে কাস্টমার থেকে সংগৃহীত ভ্যাট সরকারের কোষাগারে জমা হচ্ছে না। অভিযানকালে ফার্নিচারের দোকান থেকে ব্যবসায়ীর বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করে গোয়েন্দারা। এতে দেখা যায়, কেবল মার্চ ২০২০ এ তাদের প্রকৃত বিক্রয় ছিল ৩৩ লাখ টাকা। কিন্তু তারা মিরপুর সার্কেলে রিটার্নে দেখিয়েছে মাত্র ৩৩ হাজার টাকা। অপ্রদর্শিত বিক্রয় ৩২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। এই বিক্রয় হিসাব গোপন করার কারণে এক মাসেই ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। ভ্যাট আইন অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। গোয়েন্দারা অন্যান্য মাসের অনুরূপ তথ্যও উদঘাটন করেছে।

এদিকে ভ্যাট গোয়েন্দা অনুসন্ধান করে গোয়েন্দারা জানতে পারে, জৈনপুর ফার্নিচার মার্চ ২০২০ এ করোনার কারণ দেখিয়ে বিক্রয় কম প্রদর্শন করেছে। অথচ ওই মাসে তাদের প্রকৃত বিক্রয়ের প্রায় ৯৯ শতাংশ গোপন করেছে। ভ্যাট ফাঁকির উদ্দেশ্যেই এই তথ্য গোপন করা হয়েছে মর্মে গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

এদিকে গোয়েন্দা দলটি একই এলাকার অন্য একটি ফার্নিচার দোকানেও আকস্মিক পরিদর্শন ও অভিযান করে। এই প্রতিষ্ঠানেও হিসাব গোপনের প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটি হলো হোমউড ফার্নিচার। এই অভিযানে হোমউড ফার্নিচার থেকে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর ২০২০ মাসের প্রকৃত বিক্রির তথ্য উদ্ধার করা হয়।

আয়কর গোয়েন্দা ভ্যাট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর