সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:০৮
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবরকম প্রস্তুতি আমরা নেব।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০১৮ আলফা এবং ডিরেক্ট এন্ট্রি অফিসার (ডিইও) ২০২০ ব্রাভো ব্যাচের কোর্স সমাপনী রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়-এই পররাষ্ট্রনীতি নিয়েই আমরা চলবো এবং আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের সব ধরনের উদ্যোগ যেন থাকে এবং প্রশিক্ষণ থাকে, সেইভাবে আমরা আমাদের প্রতিটি বাহিনীকে আমরা গড়ে তুলছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এই স্বাধীন দেশ সবসময় বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে এবং আমরা আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবরকম প্রস্তুতি নেব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ইতোমধ্যেই ২৭টি যুদ্ধ জাহাজ সংযোজন করেছে। ২০১৭ সালে নৌবহরে দুটি অত্যধুনিক সাবমেরিন সংযোজন করে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে এভিয়েশন সিস্টেম সংযোজনসহ সরকার এই বাহিনীকে একটি পূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি, আরও উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নেভাল একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সও নির্মাণ করা হয় এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের আবাসন সমস্যা সমাধানেরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যোগ করেন তিনি।
’৯৬ সালে সরকারে আসার পর খুলনা শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীকে প্রদানের তথ্য উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জের ডকইয়ার্ড দুটিও নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছি। লক্ষ্য হলো, আমাদের নিজস্ব শিপইয়ার্ডেই আমরা যুদ্ধ জাহাজও তৈরী করবো। যার কাজ ইতোমধ্যেই কিছু কিছু শুরুও হয়েছে। তাছাড়া, কক্সবাজার এবং পেকুয়াতে সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে এবং রামনাবাদে নৌবাহিনীর ঘাঁটি সম্প্রসারণের কাজ চলছে, বলেন তিনি।
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের জন্য সীমিত পরিসরে মুজিববর্ষ উদযাপনের কর্মসূচি পালনের আক্ষেপ করে শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষে ব্যাপক কর্মসূচি করতে পারিনি। কিন্তু কতকগুলো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে ৯৯ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব। দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।