বিএনপি’র গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা জনগণ প্রতিহত করবে: তথ্যমন্ত্রী
৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৪৩
ঢাকা: বিএনপি আবারও ‘গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা’ করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তবে জনগণের নিরাপত্তায় কেবল সরকার নয়, জনগণও যেকোনো অপতৎপরতা ঠেকাতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আবারও গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ তা প্রতিরোধ করবে। একইসঙ্গে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যেকোনো অপতৎপরতা কঠোরভাবে প্রতিহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে বিজয়ের মাস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে ইঞ্জিনিয়ার কবীর হোসেন ও ইঞ্জিনিয়ার শামসুর রহমান সভায় বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন আজ ৩০ ডিসেম্বর। ২০১৮ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে আমরা জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি। সেদিন ষড়যন্ত্র ছিল নির্বাচনকে বানচাল করা। এজন্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, এই নিয়ে তারা খোলসা করে শুরু থেকেই কিছু বলেনি। পরে তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং একইসঙ্গে হাঙ্গামা বাঁধিয়ে নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা। তারা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্রের বিজয়কেতন উঠেছে ৩০ ডিসেম্বর। সেজন্য আজকে গণতন্ত্র বিজয় দিবস।’
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে তারা সেদিন গণতন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটি তারা পারেনি। সেজন্যই তারা আজকে ভিন্ন নাম দিয়ে দিবসটি পালন করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, সারাদেশে তারা আজ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে তারা হাঙ্গামা বাঁধিয়েছে। অর্থাৎ তারা আবার দেশে একটি গণ্ডগোল পাকাতে চায়। বিএনপিকে অনুরোধ জানাব— ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের কথা ভুলে যান। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদেরকে আর কোনোভাবেই সেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার সুযোগ দেবে না। তখন আপনারা জনগণের ওপর যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিলেন, হাঙ্গামা বাঁধিয়েছিলেন, আবার সেই অপচেষ্টা করলে জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য যেকোনো দেশবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড কঠোর হাতে প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর।
‘দেশবিরোধী, প্রগতিবিরোধী ও মৌলবাদী অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে এবং তাদের হিংস্র থাবা বিস্তাররোধ করতে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি করতে হবে বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ। বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক সংগীত ও শিল্পকলা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। আপনাদের সংগঠনকে জেলা পর্যায়ে এই কাজের নির্দেশনা দিন, দেখাদেখি অন্যরাও এগিয়ে আসবে।