Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনা অনুকূলে না আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না: প্রধানমন্ত্রী


৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:০৯

ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনুকূলে না আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খুললেও অনলাইনে শিক্ষাদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ভর্তির ব্যবস্থাটাও অনলাইনে চলবে।’

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি শের-ই বাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র মিলনায়তনে যুক্ত হয়ে বই বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

‘নতুন বই পাওয়ার আনন্দ থেকে শিক্ষার্থীরা যেন বঞ্চিত না হয়’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। তারা যেন নতুন বইটা পায়, নতুন বইয়ে নিজের নামটা লিখতে পারে, নতুন বইয়ের মলাট ওল্টানোর আনন্দটা পায় সেই চেষ্টা আমরা করেছি। আমাদের পাঠ কার্যক্রম যেন ঠিকমতো চলে সেজন্য আমরা করোনার মধ্যেও এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’

এ সময় তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা ছেলে-মেয়েদের সময় দিন। তারা যেন খেলাধুলা করতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখবেন।’

একইসঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু ঘরে বসে না থেকে খোলা ও আলো-বাতাসপূর্ণ জায়গায় বের হওয়া যায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি ঘরে বসে থাকা অত্যন্ত কষ্টকর। সময় কাটানোও কষ্টকর। তারপরেও খালি পাঠ্য বই না। আরও অনেক বই আছে পড়া যায় সেটা পড়ার জন্য অনুরোধ করব সেইসঙ্গে একটু খেলাধুলাও করতে হবে। অভিভাবক যারা বাবা-মা যারা আপনাদের অনুরোধ করব আপনারা বাচ্চাদেরকে সময় দেবেন। আসলে করোনাভাইরাস যেমন আমাদের কষ্ট দিচ্ছে আর একটা সুযোগ হচ্ছে হাজার কাজের চাপেও ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন। এই সুযোগটা আপনারা সদব্যবহার করবেন ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে সময় কাটাবেন বা তাদেরকে একটু ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ যাতে হয়। অর্থাৎ খেলাধুলা সেই গুলো যাতে করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক স্বাস্থ্যটাও ভালো থাকে সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। যেটা একান্তভাবে প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আশাকরি আমাদের যারা ছাত্র-ছাত্রী নতুন বই পেয়ে খুশি এটা ভাগে ভাগে সবাইকে দেওয়া হবে। সবাইকে অনুরোধ করব। যেখানেই জনসমাগম বেশি বা মানুষের সঙ্গে মিশতে গেলে তখন মুখে সব সময় মাস্কটা পরে রাখতে হবে। কারণ এটাই সুরক্ষা দেয় আমাদের কাজেই মাস্কটা পরা হাত সাবান দিয়ে ধুয়া বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা যেটা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শীতকালে কমলা লেবুসহ বিভিন্ন লেবু আছে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া সেদিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। এবং সবাই যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলেন। আমরা যদি এটা মেনে চলতে পারি সব সময় ঘরে বসে না থেকে যেকোনো সময় রোদে একটু থাকা, খোলা বাতাসে থাকা অবশ্যই এটা থাকতে হবে। যেটা আমাদের করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি দিতে পারে।’

এছাড়া শিক্ষার্থীদের আগামী দিনে ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারাই তো একদিন এদেশে কেউ ডাক্তার হবে, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হবে, কেউ বিজ্ঞানী হবে, কেউ মন্ত্রী হবে, কেউ প্রধানমন্ত্রী হবে, কেউ না কেউ তো কিছু হবে। কাজেই সেভাবেই শিক্ষা গ্রহণ করবে। আমাদের প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে আলো জ্বালবো। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়ে দিচ্ছি।’

টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী বই উৎসব

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর