যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে ফের পুলিশের গুলিতে মৃত্যু
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:০২
জর্জ ফ্লয়েডের পর যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস শহরের একটি ট্র্যাফিক সিগন্যালে ফের পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। খবর রয়টার্স।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে শহরের দক্ষিণাংশে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সময় ওই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর এই প্রথম মিনিয়াপোলিস পুলিশের কোনো সদস্যের গুলিতে কারও মৃত্যু হল।
এদিকে, ঘটনাটির তদন্ত পরিচালনার জন্য ব্যুরো অব ক্রিমিনাল অ্যাপ্রিহেনশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় বা বর্ণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
অন্যদিকে, বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে মিনিয়াপোলিসের পুলিশ প্রধান মেডারিয়া আরাডোন্ডো বলেন, এক সন্দেহভাজনকে অপরাধীকে ধরতে কর্মকতারা গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রাথমিক বক্তব্য অনুযায়ী, যার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল সে প্রথমে মিনিয়াপোলিস পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে গুলি ছোড়ে, তখন তারাও সন্দেহভাজনের সঙ্গে গুলিবিনিময় শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা কর্মীরা ঘটনাস্থলেই সন্দেহভাজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে, পুলিশ কর্মকর্তারা অক্ষত ছিলেন। এছাড়াও, সন্দেহভাজনের গাড়িতে থাকা একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীও অক্ষত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আরাডোন্ডো জানান, ঘটনার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বডি ক্যামেরা চালু ছিল এবং সেটির ভিডিও বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রকাশ করা হবে।
পাশাপাশি, ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী একটি পেট্রল পাম্পের কাছে প্রতিবাদকারীরা জড়ো হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ তাদের যে কোনো ধরনের ধ্বংসাত্মক অপরাধমূলক আচরণ এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৫ মে মিনিয়াপোলিস শহরের একটি রাস্তায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে প্রায় নয় মিনিট রাস্তার সঙ্গে চেপে ধরে রাখার পর তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পুলিশি বর্বরতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে শহরজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়, ধীরে ধীরে প্রতিবাদ পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ও পরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।