চাঁদাবাজির প্রমাণ মেলেনি, নুরুল আজিম রনিকে অব্যাহতি
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:২১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বর্ধিত ফি বিরোধী আন্দোলনের সময় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিসহ সাত নেতাকর্মী। পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে জানিয়েছে, রনিসহ আসামিদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। আদালত পুলিশের প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহান এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। রনি ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মুজবির রহমান রাসেল, তানভীরে মেহেদী মাসুদ, নেওয়াজ শরীফ অমি, আরিফুর রহমান মাসুদ, আব্দুর রায়হান কিরণ ও নুরুল হুদা মিঠু।
২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খান বাদি হয়ে রনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে নগরীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
২০১৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা উন্নয়ন ফি নির্ধারণ করেছিল বিজ্ঞান কলেজ। ফি না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রাখে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এসময় পরীক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির দ্বারস্থ হন। ওই বছরের ৩১ মার্চ প্রবেশপত্র উদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন রনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধ্যক্ষ জাহেদ খানকে আঘাত করার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
তবে আন্দোলনের মুখে বিজ্ঞান কলেজ উন্নয়ন ফি দেওয়ার আদেশ প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়। এছাড়া যাদের কাছ থেকে উন্নয়ন ফি আদায় করা হয়েছিল সেগুলো ফেরত দিতে বাধ্য হয়। এরপর জাহেদ খান রনির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। এর আগে রনি, জাহেদ খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছিলেন।
আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘রনিসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ জাহেদ খান করেছিলেন তদন্তে তার কোনো সত্যতা পায়নি পুলিশ। গত অক্টোবরে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। আদালত সেই প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।’
বিজ্ঞান কলেজের ঘটনার পর ওই বছরের এপ্রিল মাসেই নগরীর একটি কোচিং সেন্টারের মালিককে মারধরের আরেকটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে ছাত্রলীগের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছিলেন রনি।