ইসলামী ব্যাংকের ২০০০ কোটি টাকার ‘রহস্যময়’ তহবিলের তথ্য চায় দুদক
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৩৫
ঢাকা: ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় বিদেশ থেকে আসা দুই হাজার কোটি টাকার ‘রহস্যময়’ তহবিলের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ’র কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) অনুসন্ধান টিমের প্রধান দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক কেন্দ্রীয় ব্যাংক বরাবর এ চিঠি দেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অফশোর ব্যাংকিং হচ্ছে বিশেষ ধরণের আলাদা ব্যাংকিং ব্যবস্থা; বিদেশি সূত্র থেকে বৈদিশিক মুদ্রায় যেখানে তহবিল সৃষ্টি হয়। ২০১১ সালে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখায় চালু হয় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট। ২০১৩ সালে ব্যাংকটির ওই ইউনিটে দুই হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল আসে। তবে কোথা থেকে এ তহবিল এসেছে তার উৎস অজ্ঞাত। পরে ওই টাকার একটি অংশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় স্থানান্তর করা হলেও এ টাকা কাদের অ্যাকাউন্টে গেছে তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি দুদক।
এ প্রক্রিয়াটি এমনভাবে করা হয়েছে যাকে মানি লন্ডারিংয়ের ভাষায় ‘লেয়ারিং’ বা জটিল লেনদেনের মাধ্যমে টাকার উৎস গোপন করার মতো অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। রহস্যময় ওই টাকার উৎসের খোঁজে এখন মাঠে নেমেছে দুদক। এরই মধ্যে কিছু নথিপত্রও পেয়েছে সংস্থাটির তদন্ত দল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ’র কাছে এ বিষয়ে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন চেয়েছে দুদক।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘এই টাকার উৎস অনুসন্ধানে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। জঙ্গিবাদ কিংবা অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য এসব অর্থ বিদেশ থেকে এসেছে কি-না তাও খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি। কোনো অবৈধ অর্থ বা সম্পদ যদি কোথাও জমা থাকে তাহলে এর অনেক কারণ থাকতে পারে। আমরা সবগুলো কারণই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। অনুসন্ধান দল সবকিছু মাথায় রেখেই তদন্ত করবে।’