১২ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসকদের আলাদা টয়লেট নেই
১ জানুয়ারি ২০২১ ১০:৪৯
ঢাকা: দেশের ১২ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকদের জন্য আলাদা টয়লেট নেই। ১৩ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য হাত ধোয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। দেশের ২৩ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের কার্যকর পানির উৎস নেই। রান্নার ক্ষেত্রে ৩৯ শতাংশ রেস্তোঁরায় ও ৩৭ শতাংশ পথের খাবারে শ্যালো টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিবিএস, ইউনিসেফ এবং ওয়াটারএইডের যৌথ উদ্যোগে জরিপটি পরিচালিত হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৭৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের কার্যকর পানির উৎস আছে। ৮৬ শতাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের জন্য পানির ব্যবস্থা আছে। ৮২ শতাংশে সাবান কিংবা গুঁড়া সাবানের ব্যবস্থা আছে। ৮৯ শতাংশ জায়গায় নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য পানি আছে। ৭৭ শতাংশে সাবান কিংবা গুঁড়া সাবানের ব্যবস্থা আছে।
বিবিএসের ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড হেলথ উইংয়ের পরিচালক মো. মাসুদ আলম জানান, যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে জরিপটি করা হয়েছে। সরাসরি সাক্ষাৎকার, স্যানিটেশন সুবিধাগুলো দেখতে তাৎক্ষণিক যাচাই এবং বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা, হাত ধোয়া পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন খাতে প্রমাণভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ ও কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নে এ জরিপের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি এ জরিপ হতে এসডিজি সূচক ৬.২.১ ‘সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার সুবিধাসহ নিরাপদ ব্যবস্থাপনার স্যানিটেশন সেবা ব্যবহারকারী জনসংখ্যার অনুপাত’ এর তথ্য পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ওয়াটারএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা তুলে ধরা হয়েছে এবং এ অনুসারে, বিশেষত কোভিড-১৯-এর উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি (হাইজিন) মেনে চলার প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (ডিপিএইচই) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) তুষার মোহন সাধু খাঁ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি এবং উন্নয়ন খাতের বিশেষ অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।