ফাইজারের টিকায় অনুমোদন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
১ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:২৩
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম কোনো ভ্যাকসিন হিসেবে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার ও এর জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর ফলে বিভিন্ন দেশের জন্য এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন এবং আমদানি ও বিতরণের পথ সুগম হবে।
এএফপি’র খবরে বলা হয়, বিদায়ী বছরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি এই ভ্যাকসিনের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফাইজার-বায়োএনটেকের এই ভ্যাকসিনসহ বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিনই প্রয়োগ শুরু হয়েছে বিভিন্ন দেশে। তবে ডব্লিউএইচও এই প্রথম কোনো ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলো।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলছে, একবছর আগে যে ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, তা ঠেকাতে এই প্রথম জরুরি অনুমোদন দেওয়া হলো কোনো ভ্যাকসিনকে।
এর আগে, গত ৮ ডিসেম্বর ব্রিটেন ফাইজারের এই ভ্যাকসিন প্রযোগ শুরু করেছে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে।
ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে ডব্লিউএইচও’র একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ম্যারিঞ্জেলা সিমাও বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধ করার জন্য বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে এটি অত্যন্ত ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যেসব নাগরিকদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন, তাদের জন্য ভ্যাকসিনের চাহিদা পূরণে আরও বৃহত্তর বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ওপর আমি জোর দিতে চাই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলছে, বিভিন্ন দেশে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা ইউনিসেফ এবং প্যান-আমেরিকান স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, তাদের নিজেদের বিশেষজ্ঞসহ বিশ্বব্যাপী যেসব বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, তাদের ফাইজারের এই ভ্যাকসিনের ‘নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও গুণগত মান’ পর্যবেক্ষণ করে জানাতে বলা হয়েছিল। তাদের মতামতের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই ভ্যাকসিনটি তাদের কাঙ্ক্ষিত মান পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।
করোনার ভ্যাকসিন ডব্লিউএইচও ফাইজার ফাইজার-বায়োএনটেক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন অনুমোদন