বিজিবির অভিযানে ৭৩৮ কোটি টাকার পণ্য জব্দ, শীর্ষে মাদক
৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৩৩
ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত বছরে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৭৩৭ কোটি ৯৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা সমমূল্যের চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। এরমধ্যে শীর্ষে রয়েছে মাদকদ্রব্য। বিজিবি বলছে, এত মাদক ধরার কারণে দেশে মাদক অনেকটা কম বিক্রি হয়েছে। সঠিক নজরদারির কারণে এসব মাদক জব্দ করা সম্ভব হয়েছে।
বিজিবির তথ্য মতে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২০২০ সালে (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৭৩৭ কোটি ৯৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে এক কোটি আট লাখ ৮৯ হাজার ৮৪৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬৯ বোতল ফেনসিডিল, এক লাখ ১৫ হাজার ৭৯৯ বোতল বিদেশি মদ, ছয় হাজার ৩৩৯ লিটার বাংলা মদ, ১০ হাজার ৪১৬ ক্যান বিয়ার, ১৩ হাজার ৮৫৭ কেজি গাঁজা, ২২ কেজি ১৭ গ্রাম হেরোইন, ৪৬ হাজার ৬২১টি উত্তেজক ইনজেকশন, ৬৪ হাজার ১৬৯টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৯টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
জব্দকৃত অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৮৭ কেজি ৭৬৬ গ্রাম স্বর্ণ, ২১৬ কেজি ৭১৭ গ্রাম রূপা, ৩৩ হাজার ৩৬৬টি শাড়ি, ৯ হাজার ৪৪০টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ১৪ হাজার ৯৬৭টি তৈরি পোশাক, ২১ হাজার ৪৮৭ মিটার থান কাপড়, ৯ লাখ ৫০ হাজার ৫৯৫ ঘনফুট কাঠ, ৩৮ লাখ ২৯ হাজার ৪৩০ কেজি চা পাতা এবং ৪১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি।
অভিযানে একই সময়কালে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩৩টি পিস্তল, একটি রিভলভার, ৯০টি বন্দুক, ১০ হাজার ৪৭৩টি সকল প্রকার গোলাবারুদ, ৩৫টি ম্যাগাজিন, দুই কেজি ২০০ গ্রাম গান পাউডার এবং ২০টি ককটেল। বিজিবির অভিযানে ২০২০ সালে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন হাজার ৫৯৪ জনকে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘যে পরিমাণ চোরাচালান পণ্য উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে মাদকদ্রব্য সবচেয়ে বেশি। এত পরিমাণ মাদক উদ্ধারের পরেও সারাদেশের তরুণ সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। এসব মাদক জব্দ না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। বিজিবি আইন মেনে সীমান্ত এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখবে।’
শরিফুল ইসলাম আরো বলেন, ‘মাদকদ্রব্যের মধ্যে আবার ইয়াবা সবচেয়ে বেশি। এ সব ইয়াবার বেশিরভাগই কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া টেকনাফ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকেও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক অধ্যুষিত এলাকা সমূহে বিজিবি টহল আরও বেশি জোরদার করা হয়েছে। তা ছাড়া বিজিবির রাত্রিকালীন টহলও বাড়ানো হয়েছে।’