ভ্যাকসিন কবে পাব এখনই বলা যাচ্ছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৪৮
ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা আশা করছি সেরামের সঙ্গে আমাদের চুক্তি ব্যহত হবে না। আমরা টিকা পাব। এ নিয়ে অনিশ্চয়তার কিছু নেই। তবে কবে পাওয়া যাবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিশ্চিত হলে জানানো হবে।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এদিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন এখনই রফতানি না করার খবর পাওয়ার পরই বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মানের চুক্তি করেছে। পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। ভারতের হাই কমিশনারও ভ্যাকসিন প্রদানে আশ্বাস দিয়েছেন। সবকিছু মিলে সরকার সময় মতোই ভ্যাকসিন পাবে বলে আশাবাদী।’
আগে বলেছিলেন জানুয়ারির মধ্যে আমরা ভ্যাকসিন পাব। এখনকার পরিস্থিতি বিবেচনায় কবে পাওয়া যেতে পারে?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কবে টিকা পাব তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিশ্চিত হলে জানাব। কারণ সমস্যাটা নতুন করে তৈরি হয়েছে। কাল পর্যন্ত নিশ্চিত ছিলাম যথা সময়ে টিকা পাব। আজ শুনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে যেহেতু আমাদের সঙ্গে সেরাম চুক্তি করেছে, সেহেতু টিকা আমরা পাবই।’
জাহিদ মালেক জানান, সম্প্রতি ভারত সরকার তাদের দেশে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমতি দিয়েছে। তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন লাগবে। এসব কারণে ওদের দেশেও ভ্যাকসিন প্রয়োগে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন আনা সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখা হয়েছে। দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর, সিএমএইচডি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন সংশ্লিষ্ট অন্য শাখাগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে সরকার উদ্যোগী ভূমিকা অব্যাহত রাখছে। ভারতকে ভ্যাকসিন দেওয়া বাবদ টাকা পাঠানোর সকল প্রক্রিয়াও শেষ করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার ১২০ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হচ্ছে।
পেঁয়াজের প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গভীর। আমরা আস্থা হারাতে চাই না।’
একই ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘ভারত সরকার কেবল কমার্শিয়াল কর্মকাণ্ডের ওপর ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে হওয়া চুক্তির ওপরে ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলেই জানা গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ভ্যাকসিন হাতে পেতে হয়তো বড়জোর ফেব্রুয়ারি মাস লাগতে পারে।’
উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন রফতানিতে রোববার (৩ জানুয়ারি) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার।
করোনা জাহিদ মালেক ভারত ভ্যাকসিন সেরাম ইনস্টিটিউট স্বাস্থ্যমন্ত্রী