শেকৃবি’তে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, আটক ১
৬ জানুয়ারি ২০২১ ০০:১৬
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মো. তাহের (৪৮) নামে একজনকে বিশ্ববিদ্যালয় ফার্স্ট গেট থেকে আটক করেছে।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) শেকৃবি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পেছনের এলাকাটিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে ওই কিশোরী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে বিষয়টি পরিবারকে জানাতে পারেনি। ওই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মঙ্গলবার বিষয়টি জানালে এরপর মেয়েটির পরিবার থানায় অভিযোগ করে।
আটক মো. তাহের মোহাম্মদপুর হুমায়ূন রোড এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পরিবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে।
মেয়েটির বাবা সারাবাংলাকে জানান, তাদের বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়। এখানে রিকশা চালিয়ে পরিবার চালান। তার মেয়ে প্রতিবন্ধী, সে কথা বলতে পারে না।
তিনি বলেন, আজ চামেলি ভবনের গার্ড বাচ্চুর কাছ থেকে জানার পর তাহেরের নামে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেছি। পুলিশ এসে তাহেরকে ফার্স্ট গেট থেকে ধরে নিয়ে গেছে।
ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী আবু তালেব বাচ্চু সারাবাংলাকে বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হলের সামনে গাছ পরিষ্কার করার সময় দেখি তাহের মেয়েটিকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পেছনে টিনঘেরা জায়গায় যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে ঘটনাটি দেখতে পাই। তাহের আমার পা জড়িয়ে ধরে। আমি তখন নিরাপত্তাকর্মী আরিফ ভাইকে বললেও তাহের পালিয়ে যায়। কিন্তু বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, টিনঘেরা জায়গাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকাদারিতে দ্বায়িত্বরত কর্মীদের অস্থায়ী আবাসিকস্থল হিসেবে করা হতো। এখন জায়গাটি পরিত্যক্ত।
তাহেরকে আটক করতে আসা পুলিশ দলের দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মাতব্বর সারাবাংলাকে বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নিয়েছি। তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা জানাব।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ঘটনাটি শুনলাম। প্রত্যক্ষদর্শী কর্তৃপক্ষকে জানাতে দেরি করায় আটক প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে কর্তব্যরত আনসারের পরিমাণ কম। উপাচার্যের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আনসার সদস্য বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে।
আটক ১ ধর্ষণ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরী শেকৃবি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়