ইস্কাটনে জোড়া খুন: সাবেক এমপিপুত্র রনির জামিন খারিজ
৬ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:৩৯
ঢাকা: রাজধানীর বাংলামোটেরের ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বখতিয়ার আলম রনির জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৬ জানুয়ারি) জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, `আদালত বখতিয়ার আলম রনির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।’
২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি ঢাকার আদালত রনিকে জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমাম এ রায় দেন।
রায়ে বলা হয়, গুলির ঘটনার সময় স্বাভাবিক ছিলেন না রনি। তিনি মাতাল ছিলেন। তার মেয়ে হাসপাতালে থাকায় বিষণ্ণতায় ছিলেন। তাই তিনি মদপান করে নেশাগ্রস্ত ছিলেন। মামলার বিচারে তা প্রমাণিত হয়েছে।
রায়ে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় তার (রনি) মৃত্যুদণ্ড শাস্তি হয়, কিন্তু শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হলো।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
ওই ঘটনায় নিহত আবদুল হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ১৫ এপ্রিল অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২১ জুলাই পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা রনির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
মামলাটিতে বখতিয়ার আলম রনিকে তিনদফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে ২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন।
গত ২০১৬ সালের ৬ মার্চ মামলাটিতে আসামি রনির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে আদালত চার্জ গঠন করেন। বিচার শেষে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করা হয়।