Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হ্যাটট্রিক জয়ের ২ বছর পূর্তি শেখ হাসিনা সরকারের


৭ জানুয়ারি ২০২১ ০৮:১০

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয়ের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ সরকার। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে দলটি চতুর্থবার সরকার গঠন করেছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থবারের মতো দায়িত্ব পালন করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর দুই বছর পূর্ণ করল শেখ হাসিনা সরকার।

করোনা মহামারির মধ্যেই চলতি মেয়াদে সরকারের দুই বছর পূর্তি হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি)। ২০১৯ সালের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চমক জাগানো নতুন মন্ত্রিসভার ৪৭ সদস্য শপথ নেন। সরকারের এই দুই বছরের পথচলায় মন্ত্রিসভায় কয়েক দফায় রদবদল হয়েছে, যুক্ত হয়েছেন নতুন মুখ। তৃণমূলে নেতৃত্ব ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ নিয়ে কিছু কোন্দল দেখা গেছে। তবে সাংগঠনিকভাবে এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় তেমন বেগ পেতে হয়নি ক্ষমতাসীন দলটিকে। রাজপথেও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও খুব একটা চ্যালেঞ্জ আসেনি।

এই দুই বছরের পথচলায় সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে এসেছিল বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড১৯) সংক্রমণ। করোনা মোকাবিলা করে একদিকে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা, অন্যদিকে জনগণের জীবন-জীবিকা সচল রাখা— দুইয়ে মিলে সরকারের চলার পথটি ছিল বন্ধুর। করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, সরকারি অনুদান নিয়ে অনিয়ম, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বলতে গেলে একহাতেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

সরকারের হ্যাটট্রিক মিশনের দ্বিতীয় বছরের শুরুতেই আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের সাফল্য আসে। এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে মুজিববর্ষের আয়োজন নিয়েও জাতীয় পর্যায়ে ছিল বিরাট প্রস্তুতি। কিন্তু বিদায়ী বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হলে সব পরিস্থিতি বদলে যায়। পূর্বঘোষিত সব কর্মসূচি স্থগিত করে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ অন্য সব অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয় জনসমাগম এড়িয়ে সীমিত পরিসরে। করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে শেষ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় সরকার। এরপর নানা পরিস্থিতি পেরিয়ে করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউ সামলে এখন দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্যও সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির ক্ষেত্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সরকারের ২য় বছরের পথচলা

সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাধা অতিক্রম করে মেয়াদের দ্বিতীয় বছরে এসেই স্বপ্নের পদ্মাসেতুর বড় একটি অংশের কাজ শেষ করতে সক্ষম হয়েছে সরকার। গত ১০ ডিসেম্বর ৪১তম ও শেষ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে মূল পদ্মাসেতুটি গোটা বিশ্বের সামনে দেশের গর্বের প্রতীক হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৯ ডিসেম্বর নির্মাণাধীন দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর কক্সবাজারের মাতারবাড়ী বন্দরে ভিড়েছে জাহাজ ‘ভেনাস ট্রায়াম্প’। করোনার অভিঘাত সত্ত্বেও কর্ণফুলী নদীর নিচে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি পৌঁছেছে ৫০ শতাংশে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও ৩০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজও এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে যানচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নদী তীরে অবৈধ দখল উচ্ছেদ, রাজধানীর অবৈধ দোকান ও খাল উদ্ধারের তৎপরতায় স্বস্তির আশা দেখছে জনগণ। গত কয়েক বছরের মতোই এ শিক্ষাবর্ষেও বছরের শুরুর দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে পৌঁছেছে নতুন বই। মুজিববর্ষে গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে। এ বছর শুরু হয়েছে ই-পাসপোর্টের কাজও। ডিজিটাল সেবা দিতে ২১টি ডিজিটাল রেকর্ড রুমও চালু করা হয়েছে।

সরকারের দ্বিতীয় বছরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর মাধ্যমে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের মতো এগিয়ে নিতে হাতে নেওয়া হয়েছে ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান। এর মধ্যে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার, গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৬ বছর।

বিদায়ী বছরে করোনার অভিঘাতে দেশের অর্থনীতিতে সাময়িক স্থবিরতা দেখা দিলেও সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ব্যাপকভাবে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ২০২০ সালে। ১২ মাসের তথ্য বলছে, এ বছর দেশে রেমিট্যান্স এসেছে রেকর্ড ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। এর প্রভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এই রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ল্যান্ডমার্ক ছাড়িয়ে যায়।

সরকারের দ্বিতীয় বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ শতাংশে। দুই বছর পেরিয়ে তৃতীয় বছরেই শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।

২০১৯-২০ অর্থবছরে চাল উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৫০  হাজার টন। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়ন হলে কর্মসংস্থান হবে এক কোটি মানুষের। কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণে ৩ হাজার ১৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। দেশের শিল্প খাতে সহজে জোগান নিশ্চিত করতে ঋণের সুদহার সিংগেল ডিজিটের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সরকারের মেয়াদের দ্বিতীয় বছরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়েছে ড্যাশ ৮-৪০০ ধ্রুবতারা। বাংলাদেশ বিমানে সমুদ্রসীমা রক্ষায় যুক্ত হয়েছে নৌবাহিনীর তিনটি আধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও দুইটি জরিপ জাহাজ।

গত কয়েক বছরে দেশের অন্যতম আলোচিত ইস্যু হলো রোহিঙ্গা সংকট। সরকারের দ্বিতীয় বছরে এসেও মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যায়নি। তবে এ বছরে এসে রোহিঙ্গাদের খাবার, আবাসন, নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভাসানচরে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এরই মধ্যে দুই দফায় প্রায় আড়াই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানোও হয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগ

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি রাখা হয়। পরে ধীরে ধীরে সীমিত পরিসরে চালু করা হয় অফিস-আদালত, গণপরিবহন।

দেশে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় টেস্টিং কিট সরবরাহ ধরে রেখেছে সরকার। কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয় দুই হাজার চিকিৎসক, ৫ হাজার ৫৪ জন নার্স। এছাড়া ৫০ হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট নিয়োগের ঘোষণা রয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের জন্য ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা স্বাস্থ্যবীমা এবং এর ৫ গুণ জীবন বীমাও ঘোষণা করে সরকার।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভাগ থেকে শুরু করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিনিয়ত ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হয়ে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সরকার মোট ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে, যা দেশের জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়ে ভিজিডি, ভিজিএফের মাধ্যমে ১০ টাকার খাদ্য সহায়তা ও অন্য সহায়তাপ্রাপ্ত ৭৬ লাখ পরিবার বাদ দিয়েও আরও প্রায় ৫০ লাখ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের জন্যও সরকারের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

গত বছর ২৮ জুন পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন এবং বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ২৪ মেট্রিক টন। এতে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা এক কোটি ৬২  লাখ ৯৫ হাজার ৯০৪ জন এবং উপকারভোগী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সাত কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫ জন। শিশুখাদ্যসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রির জন্য নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে রমজান উপলক্ষে কওমি মাদরাসাগুলোকে ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, মসজিদগুলোর জন্য ১২২ কোটি দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা অর্থসহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্লোগানকে নিজেদের নির্বাচনি ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করেছিল আওয়ামী লীগ। গত দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর তৃতীয় মেয়াদেও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এর আওতায় সরকারি বিভিন্ন সেবাকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। তবে করোনাকালে এসে যেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শব্দযুগল সম্পূর্ণরূপে দৃশ্যমান হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলেছেন, করোনাকালেই গণভবনে বলতে গেলে ‘জেলবন্দি’র মতো সময় কাটছে তার। তবে তাই বলে কোনো কার্যক্রমই থেমে থাকেনি। ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে গণভবনে বসেই সব কাজ দক্ষ হাতে সামলেছেন তিনি। করোনার শুরুর দিকে মাঠ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে গণভবনে বসেই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মতবিনিমিয় করেছেন, দিয়েছেন নির্দেশনা। এরপর মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে শুরু করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকও করেছেন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেই। জাতীয় ও দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তিনি নিয়মিত যুক্ত হচ্ছেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে।

কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়, সাধারণ ছুটির মধ্যে গোটা সরকারই চলেছে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসেই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা। সরকারের কোনো কাজই বলতে গেলে থেমে থাকেনি।

২ বছর ২ বছর পূর্তি আওয়ামী লীগ সরকার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর