ডিএসইতে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে
৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:২৩
ঢাকা: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দেশের দুই পুঁজিবাজারে লেনদেন ও সূচকে ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে। বৃহস্পতিবার প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বাড়লেও সূচক কমেছে। অন্যদিকে, এদিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম, সব সূচক বাড়লেও কমেছে আর্থিক লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন পর পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে সক্ষম হয়েছে। গত দুই মাস ধরে পুঁজিবাজার বেশ স্বাভাবিক অবস্থা রয়েছে। এই সময়ে পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক কোনো উত্থান কিংবা পতন হচ্ছে না। সে সঙ্গে বাজারে তারল্য সঙ্কটও অনেকটাই কেটে গেছে। এই অবস্থা আরও কিছুদিন চলতে থাকলে পুঁজিবাজার করোনা সময়েও অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩৬২টি কোম্পানির ৬৪ কোটি ৭২ লাখ ৯৮ হাজার ২৬ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮১টির, কমেছে ১২১টির এবং ৬০টির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত থাকে।
দিনশেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৭০৮ কোটি ১০ টাকা। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এদিন ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬২১ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৬৫ পয়েন্ট, ডিএসইএ-৩০ সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৮ পয়েন্টে নেমে আসে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৮৭টি কোম্পানির ২ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার ৭৩২টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৭টির, কমেছে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনশেষে সিএসইতে ১০৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৭০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে উন্নীত হয়।