করোনা: জাপানে ১ মাসের জরুরি অবস্থা
৭ জানুয়ারি ২০২১ ২২:১৪
বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের মুখে রাজধানী টোকিওসহ আশেপাশের আরও তিন এলাকায় একমাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জাপান। খবর এনইচকে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, জাপানে প্রতিদিন রেকর্ড সাত হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
এক নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টোকিওসহ সাইতামা, কানাগাওয়া এবং চিবা প্রিফেকচারে জরুরি অবস্থা জারি থাকবে। জাপানের জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ এই জরুরি অবস্থার আওতায় পড়বে।
জরুরি অবস্থা জারি থাকা এলাকাগুলোর বার এবং রেস্টুরেন্টগুলো করোনা সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এই স্থানগুলোতেই বেশি কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে। স্থানীয় সময় রাত আটটার মধ্যে বার, রেস্টুরেন্ট বন্ধ করতে হবে। অধিবাসীরা অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। কাজ করতে হবে বাড়ি থেকে এবং খেলা বা অন্য কোনও বড় অনুষ্ঠানে জমায়েত সীমিত রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, দেশজুড়ে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে, সংকট ভালভাবেই আঁচ করতে পারছেন তারা।
এদিকে, বিশ্বে অনেক দেশের চেয়েই জাপানে করোনা সংক্রমণ তেমন মারাত্মক না হলেও মোকাবিলায় ব্যর্থতার পরিচিয় দিচ্ছে জাপান সরকার – জানাচ্ছে রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) কেবল টোকিওতেই করোনা সংক্রমণ একলাফে বেড়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৪৪৭ জনের মধ্যে। এর আগের দিনই যা ছিল এক হাজার ৫৯১ জন। টোকিওতে এই হারে ভাইরাস সংক্রমণ উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
দেশের অন্যান্য শহরেও করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। বহুল সংক্রমণের শিকার ওসাকা শহরে বুধবার (৬ জানুয়ারি) সেখানে রেকর্ড ৫৬০ জনের মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, হোক্কাইডো শহরে এক সপ্তাহের মধ্যে বুধবার (৬ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো ভাইরাস সংক্রমণ ১০০ পার হয়েছে।
তবে, জাপানের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ যথেষ্ট নাও হতে পারে।
এ ব্যাপারে জাপান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান তোশিও নাকাগাওয়া বলেছেন, হয়ত দেশজুড়েই জরুরি অবস্থা জারি করতে হতে পারে।