বিএনপিকে দলের ঐক্য ধরে রাখার ‘পরামর্শ’ তথ্যমন্ত্রীর
৭ জানুয়ারি ২০২১ ২২:৫৫
ঢাকা: বিএনপির ভেতরে ঐক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সে কারণে বিএনপিকে সরকার নিয়ে কথা না বলে বরং নিজেদের ঐক্য ধরে রাখার ‘পরামর্শ দিয়েছেন’ তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত, তারা (বিএনপি) ডান-বাম-অতি বাম-অতি ডান, প্রতিক্রিয়াশীল এবং ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সবাইকে এক করে গত ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সরকারের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিল। কাঁচের গ্লাসের মতো সেই ঐক্য ভেঙে গেছে। যে দলগুলো একত্রিত হয়েছিল, সেগুলোর অভ্যন্তরীণ ঐক্য নেই এবং বিএনপি’র ভেতরেও তা নেই। যেহেতু বৃহত্তর ঐক্যের চেষ্টায় কোনো ফল তারা পাননি, সুতরাং তাদের নিজের দলের ঐক্যটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করাই শ্রেয়।’
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এমন কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। ‘২০২১ সালেই বিএনপি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতন ঘটাবে’— বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র নেতারা যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, গত কিছুদিন ধরে যেভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন এবং সামনে সারিতে বসা নিয়ে যে মারামারি করেছেন, এতে তাদের দলের যে প্রচণ্ড অনৈক্য, সেটি বেরিয়ে আসছে।
ভ্যাকসিন নিয়ে সরকার টালবাহনা করছে— বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি ভুল সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে যে ধুম্রজাল তৈরি হয়েছিল, সেটির নিরসন হয়েছে। এরপরও এই কথাগুলো বলে বিএনপি জনগণের মধ্যে প্রথম থেকেই যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালিয়ে এসেছে, তা জিইয়ে রাখতে চায়। বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী যথাসময়েই এই ভ্যাকসিন পাবে।
নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ নেতা মির্জা কাদেরের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা কাদের যে বক্তব্য রেখেছেন সেটির ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নোয়াখালীর আভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রেক্ষাপটেই তিনি কথা বলেছেন, সারাদেশের রাজনীতি নিয়ে নয়। আমি মনে করি, আমাদের দলের মধ্যে যে গণতন্ত্র আছে, যে কেউ তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারে। মির্জা কাদেরের বক্তব্য সেটিরই বহিঃপ্রকাশ।
এর আগে অনলাইনে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন এবং সেখানে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন তালুকদারের সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পূর্বসূরী যে মুক্তিযোদ্ধারা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আমাদের এই দেশ রচনা করেছিলেন, তাদের ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর জিয়া-এরশাদ সাহেবদের আমলে অসম্মানিত, নিগৃহীত করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে সম্মানের আসনে বসিয়েছেন, তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন, তাদের সন্তানদের জন্য চাকরিতে বিশেষ কোটার রাখা হয়েছে। প্রতি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।