Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশ সফর: নিয়মের মধ্যে অনিয়মের পাঁয়তারা


৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৯:৪৮

ঢাকা: উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেওয়ার বিধান রয়েছে। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেই এটি হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে প্রশিক্ষণের নামে বিদেশ সফর যেন প্রকল্পের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারিতে ভ্রমণ ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে পুরো ২০২০ সাল জুড়েই উন্নয়ন প্রকল্পে নানা ছুঁতোয় বিদেশ সফরের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনার মুখ পড়ে।

বিজ্ঞাপন

ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ সফর, খিচুরি রান্না শিখতে বিদেশ সফর, সুউচ্চ বিল্ডিং দেখতে বিদেশ সফর, এমনকি পুকুর খনন ও পুনঃখনন শিখতেও বিদেশ সফরের প্রস্তাব করা হয় গত বছর। আর এই বিদেশ সফর কাটছাট এমনকি বাতিলে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও। কিন্তু যেসব কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠান এরকম প্রস্তাব দিয়েছে তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কোনরকম শাস্তি না হওয়ায় একের পর এক এমন ঘটনা ঘটেই চলছে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। তারা এগুলোকে নিয়মের মধ্যে অনিয়মের পাঁয়তারা হিসেবেই দেখছেন। তারা বলছেন, নিয়মের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতির পূর্ব-পরিকল্পিত নকশা তৈরি করা হয় প্রকল্পের শুরু থেকেই।

বিজ্ঞাপন

বাস্তবায়ন,পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিস্টেম ভালো! বিদেশ সফরের প্রস্তাব দেওয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কারণে পুরো প্রকল্পই সমালোচনার মুখে পড়ে। বিদেশ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, কোন প্রকল্পে কতটা প্রয়োজন। আবার কাদের প্রশিক্ষণ বা সফরে পাঠানো হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যক্তিদের নমিনেশন দেয়াটা জরুরি।’

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিয়ম আছে বলেই অহেতুক বিদেশ ভ্রমণ করতে হবে কেন? এতে সরকারি অর্থের যেমন অপচয় হয় তেমনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সময়েরও অপচয় হয়। যেমন- যারা ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) তৈরি করে সেখানে সময়ের অপচয় ঘটে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মন্ত্রীদেরও এসব খুঁটিনাটি বিষয় দেখতে গিয়ে সময় নষ্ট করতে হয়। সর্বশেষ পরিকল্পনা কমিশনে আরেক দফা সময় নষ্ট হয়।’

তিনি বলেন, ‘এরকম প্রস্তাব দেওয়াটা সরাসরি অপরাধ না হলেও নিরুৎসাহিত করার ব্যবস্থা থাকা উচিত। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা বিভাগকে কড়া ভাষায় সতর্ক করা যেতে যারে। একই ব্যক্তি বারবার এরকম ঘটনা ঘটালে তার পদোন্নতির ক্ষেত্রে সেটি বিবেচনা করা যেতে পারে। অথবা বার্ষিক কনফিডেন্সিয়াল রিপোর্টেও সেটি উল্লেখ করা যেতে পারে। তা না হলে নিয়মের মধ্য থেকে অনিয়মের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবেই।’

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘নিয়মের সুযোগ নিয়ে সুবিধা আদায়ের প্রচেষ্টা অবশ্যই নৈতিক স্খলন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দায়িত্বশীলদের উচিত এই স্খলনজনিত অপরাধ বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’

সূত্র জানায়, সম্প্রতি গরুর জন্য ঘাসের চাষ শিখতে ৩২ জন কর্মকর্তার বিদেশ সফরের প্রস্তাব করা হয়। তাদের প্রত্যেকের পেছনে ব্যয় ধরা হয় ১০ লাখ টাকা। এতে মোট বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। ‘প্রাণী পুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাসের চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ শীর্ষক প্রকল্পে এ অর্থ বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়। মোট ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে। ওই সময় ৩২ কর্মকর্তার বিদশ ভ্রমণের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা নজরে আনা হয়। এতে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে একান্ত প্রয়োজন হলে অল্প সংখ্যাক কর্মকর্তার বিদেশ সফরের পক্ষে মত দেন। ওই সময় তিনি বলেন, ‘কর্মকর্তার সংখ্যা ও ব্যয় দুটোই কমাতে হবে।’ কিন্তু যেসব কর্মকর্তা এমন প্রস্তাব তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।

এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীর এক কর্মকর্মতা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা নিয়মের মধ্যে থেকে অনিয়মের পাঁয়তারার বিষয় নয়। এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পে ঘাস চাষের বিষয়টি থাকায় মনে হয়েছিল ৩২ কর্মকর্তা ঘাস চাষ শিখতে বিদেশ যাবেন। মূল কথা প্রাণী পুষ্টি অনেক বড় বিষয়। শুধু ঘাসই নয়, এর সঙ্গে অনেক কিছুই রয়েছে। একনেকে প্রধানমন্ত্রী ব্যয় ও কর্মকর্তার সংখ্যা যৌক্তিক করতে বলেছেন। আমরা সেটি করছি।’ তাহলে কি প্রস্তাবটা অযৌক্তিক ছিল?— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না বিষয়টি সেরকম নয়।’

প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি,পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা শাস্তির বিষয় নয়। প্রশিক্ষণর চাহিদা তারা দিতেই পারে। কিন্তু সেটি কতটুকু প্রয়োজনীয় তা দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদফতর রয়েছে। তারপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির বৈঠক হয়। পরবর্তীতে হয় সচিবের নেতৃত্বে বৈঠক। তারপরই আসে পরিকল্পনা কমিশনে। তারা আউটলাইনের মধ্যেই এসব প্রস্তাব দেয়। পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্ব-ই হচ্ছে সেসব ঠিক আছে কিনা সেটি যাচাই-বাছাই করা।’

তাছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে খিচুরি রান্না শিখতে বিদেশ সফরে ব্যবস্থা থাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। প্রায় এক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে খিচুরি রান্না শিখতে বা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। এক্ষেত্রে বৈদেশিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঁচ কোটি টাকা এবং দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের জন্য ১০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। ‘স্কুল ফিডিং কর্মসূচি’র আওতায় প্রশিক্ষণের জন্য তাদেরকে বিদেশ পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনা মুখে পড়ে। জনগণের টাকা ব্যয় করে এ ধরনের সফরের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। পরবর্তী সময়ে পরিকল্পনা কমিশন থেকে এই সংখ্যা কাটছাট করা হয়।

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের দায়িত্বশীর এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘ওই প্রস্তাবের কোথাও খিচুরি কথাটা উল্লেখ নেই। এটা আপনারা কোথায় পেয়েছিলেন? তাছাড়া বৈদেশিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেওয়ার অধিকার সবারই আছে। তাই বলে কেন প্রস্তাব দেওয়া হলো সেজন্য শাস্তি দিতে হবে- বিষয়টি এমন নয়। যিনি প্রস্তাব তৈরি করেছেন তিনি মনে করেছেন, নতুন একটি বিষয় হচ্ছে। তাই প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। আবার ওই সময়ে ডিজি মহোদয় মনে করেছেন সেটি ঠিক আছে। তারপর মন্ত্রণালয়ও মনে করেছে ঠিক আছে। ফলে সেটি গেছে পরিকল্পনা কমিশনে। কমিশন মনে করেছে এটি ঠিক হয়নি। তাই তারা বরাদ্দ ও সংখ্যা কমিয়ে সুপারিশ দিয়েছে। এসব দেখার ক্ষেত্রে সবার উপরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিটি জায়গায়ই চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের ব্যবস্থা রয়েছে।’

প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদ্য সাবেক হওয়া সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘তারা চাইতেই পারে। কিন্তু চাওয়াটা যৌক্তিক কিনা সেটি দেখার জন্যই পরিকল্পনা কমিশন রয়েছে। তাদের প্রস্তাবে সারাদেশের ৪৯৪ জন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিদেশ পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, তাদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। যারা একান্তই খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত এরকম তিন ব্যাচে ৩০ জন কর্মকর্তাতে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাতে হবে। এতে অনেক অর্থের সাশ্রয় হবে। অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের প্রস্তাব বাদ দেওয়া সুপারিশ করা হয়েছে। এটি অনিয়মের কোনো বিষয় নয়। তবে মন্ত্রণালয় পর্যায়েই এসব বিষয় ঠিক মতো দেখা হলে ভালো হতো।’

অন্যান্য প্রকল্পে বিদেশ সফরের যেসব প্রস্তাব

সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময়ে তাছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিদেশ সফরের প্রস্তাব সমালোচনার জন্ম দেয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে বৃহত্তম দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলায় সেচ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পে ছয় কর্মকর্তার বিদেশ প্রশিক্ষণের প্রস্তাব। প্রশিক্ষণ বা শিক্ষাসফর নামে এই বিদেশ ভ্রমণ খাতে বরাদ্দ চাওয়া হয় ৪৮ লাখ টাকা, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ। এছাড়া ‘ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পে বৈদেশিক প্রশিক্ষণের নামে ১৪ কর্মকর্তার বিদেশ সফরে আগেই খরচ করা হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা। নতুন করে ফের বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব করা হয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এতে ভেটো দেয় পরিকল্পনা কমিশন। ফলে এই খাতের ব্যয় বাতিল করা হয়েছে। ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পে প্রশিক্ষণ বা স্টাডি ট্যুরের নামে বিদেশ সফরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয় দেড় কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে পরিকল্পনা কমিশনের বাধার মুখে বাতিল হয়ে যায়। এছাড়া ‘রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রক্স)’ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পে বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলেমিশে বিদেশ সফরের প্রস্তাব দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তৃতীয় সংশোধনীতে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। অর্থাৎ প্রকল্পের বাইরে আরও সংশ্লিষ্ট ছয়টি সংস্থার প্রতিনিধি এই সফরে যাবেন বলে উল্লেখ করে সংস্থাটি। এগুলো হলো- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর, পরিকল্পনা কমিশন, অর্থমন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। বৈদেশিক সফর খাতে বরাদ্দ ছিল ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা। তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাবে অতিরিক্ত আরও ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছিল। ইতোমধ্যেই বিদেশ সফরে খরচ হয়েছে আট কোটি ৬৫ লাখ টাকা। তবে এই সফরের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে পরিকল্পনা কমিশন। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সময় পুকুর খনন শেখা, খাল খনন, মৎস্য চাষ প্রযুক্তি হস্তান্তর, কাজু বাদাম চাষ এবং সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশ সফরের প্রস্তাবও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।

ভ্রমণ ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর নির্দেশনা

চলতি অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের ভ্রমণ ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। গত ১৯ আগষ্ট সংশ্লিষ্টদের পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতে অর্থবরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এজন্য সব সককারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্ত শাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় থেকে ভ্রমণের ব্যয় নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে শুধুমাত্র জরুরি ও অপরিহার্য বিবেচনায় এ খাতের বরাদ্দ খরচ করা যাবে। সরকারি ভ্রমণে ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত অর্থের ৫০ শতাংশ স্থগিত থাকবে। এছাড়া সকল প্রকাশ রুটিন ভ্রমণ পরিহার করতে হবে। এর আগে গত ১০ আগস্ট একই রকমের আরও একটি চিঠি দিয়েছিল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। তার আগে গত ১৯ জুলাই পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় ভ্রমণ ব্যয় কমানোর চিঠি দেয় অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

উন্নয়ন প্রকল্প প্রশিক্ষণ বিদেশ সফর বিশ্বব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর