Thursday 28 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের ‘আশা দেখাচ্ছে’ আরও ২ ওষুধ


৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:২৫

সংকটাপন্ন কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে রোশের আর্থ্রাইটিসের ওষুধ অ্যাকটেমরা আর সানোফির কেভজারা। এই দুই ওষুধ ইনটেনসিভ কেয়ারে থাকা করোনা রোগীদের মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনতে পারে বলে এক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে। খবর রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই গবেষণার ফলাফল এখনো সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের স্বাধীন পর্যালোচনার অপেক্ষায় আছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রভাবিত করে অ্যাকটেমরা ও কেভজারা সংকটাপন্ন কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুর হার ৮.৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনতে পারে।

গবেষণার সঙ্গে যুক্ত লন্ডন ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক অ্যানটোনি গর্ডন বলেন, হাসপাতালে যাদের ওই দুটি ওষুধের মধ্যে একটি দেওয়া হয়েছে তাদের প্রতি ১২ জনের মধ্যে বাড়তি একজনের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।

রয়টার্স লিখেছে, বাজারে প্রচলিত ওষুধগুলোই যে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে, সেই আত্মবিশ্বাসকে মজবুত করবে এই গবেষণার ফলাফল।

এদিকে, এক বছরে ১৮ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। এ রোগের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ এখনও মানুষ তৈরি করতে পারেনি। আর এমন এক সময়ে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হল, যখন যুক্তরাজ্য আর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করোনার দ্রুত সংক্রমণক্ষম দুটি নতুন ধরন বহু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, হাসপাতালে রোগী বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাজ্য সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ওই দুটি ওষুধ দেওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসকদের শিগগিরই নির্দেশনা দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জোনাথন ভ্যান ট্যাম বলেছেন, প্রাণ বাঁচানোর পাশাপাশি হাসপাতাল ও আইসিইউ এর ওপর চাপ কমাতে এসব ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় আলাদা কোনো ওষুধ এখনও তৈরি না হওয়ায় অন্যান্য ওষুধের মধ্যে কোনগুলো এ রোগের উপশমে কাজে লাগতে পারে, তা নিয়ে কাজ চলছে বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে জেনেরিক স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোন এবং গিলিয়াডের অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির কিছু দেশে সংকটাপন্ন কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, অ্যাকটেমরা ও কেভজারা নিয়ে আন্তর্জাতিক গবেষণাটি চালানো হয়েছে গুরুতর অসুস্থ ৮০০ কোভিড-১৯ রোগীর ওপর। এ গবেষণার নাম দেওয়া হয়েছে রিম্যাপ-ক্যাপ ট্রায়াল। গবেষণায় দেখা গেছে, ওই দুটি ওষুধের যে কোনো একটি প্রয়োগের পর মৃত্যুর হার ৩৫.৮ শতাংশ থেকে কমে ২৭.৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

তাছাড়া, ওই দুটি ওষুধ দেওয়ার পর রোগীরা তুলনামূলকভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রোগীদের আইসিইউতে থাকার গড় সময় সাত থেকে দশদিন কমে এসেছে। অ্যানটোনি গর্ডন বলেন, রোগীদের সেরে ওঠার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় পরিবর্তন। ওই দুটি ওষুধ জীবন বাঁচাতে সক্ষম।

অ্যাকটেমারা করোনাভাইরাস কেভজারা সংকটাপন্ন করোনা রোগী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর