১৯৭১ এর ১৯ মার্চ ছিল টার্নিং পয়েন্ট: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:১০
ঢাকা: স্বাধীনতার স্বার্থে ১৯৭১ এর ১৯ মার্চ একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। জাতীয় প্রেস ক্লাবে (৮ জানুয়ারি) ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কাছ থেকে চায়না রাইফেল নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ করি। পাকিস্তানিরা সেদিন কৌশল অবলম্বন করেছিল। জনতার ভিড় দমাতে আগে দেওয়া হয় বাঙালি সৈন্যদের আর পেছনে ছিল পাঞ্জাব সৈন্যরা। তবে সেদিন বাঙালি সৈন্যরা জনতার ওপর সরাসরি গুলি করেনি, তারা ফাঁকা গুলি ছুড়েছিল। জনতার ওপর গুলি ছুড়লে অনেক মানুষ মারা যেতে পারত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতার স্বার্থেই তাই ১৯ মার্চ ছিল একটা টার্নিং পয়েন্ট। বলা যায়, স্বাধীনতাযুদ্ধে এটি একটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। এর পরদিন স্লোগান উঠেছিল সারা বাংলাদেশে, জয়দেবপুরের পথ ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। সমস্ত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পত্রিকায় ২০ মার্চ গণবিদ্রোহের খবর এসেছিল।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাঙালি জাতি বহুবার আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙ্গালিদের আন্দোলন সংগ্রামের অভাব নেই। সমস্ত আন্দোলন ছিল প্রতিরোধমূলক। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়। আর ৭১ এর ১৯ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্রভাবে আক্রমণ করা হয়। তারা গুলি করেছে আমরাও তাদের বিরুদ্ধে গুলি করেছি। এটি বাংলার ইতিহাসে অতীতে কখনো ঘটেনি। এছাড়া পাকিস্তানিরা বুঝেছি বাঙ্গালিদের কাছে অস্ত্র থাকা নিরাপদ নয়। সে জন্য তারা বাঙালি সৈন্যদের নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি পাকিস্তানি সৈন্যদের।’
আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানসহ অন্যরা।