বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীকে ‘মঞ্চছাড়া’ করলেন আ.লীগ নেতারা
৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনি সভার একটি মঞ্চ থেকে বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীকে নামিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে এ সময় রেজাউল সভাস্থলে পৌঁছাননি। মঞ্চে অবস্থান করলেও নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী নিশ্চুপ ছিলেন।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গনে রেজাউলের সমর্থনে শ্রমিক লীগের আওতাধীন বেসিক ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ সভায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া আনজুমান আরা বেগম নগরীর আন্দরকিল্লা, চকবাজার ও দেওয়ানবাজার নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত সাত নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী। গত তিন দফা আওয়ামী লীগের সমর্থনে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও এবার সমর্থন পাননি। আনজুমানের বদলে এবার সমর্থন পেয়েছেন মহিলা লীগ নেত্রী রুমকি সেনগুপ্ত।
সভায় উপস্থিত কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেজাউলের অনুপস্থিতির মধ্যেই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সভা শুরু হয়। নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, শফর আলী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, চন্দন ধর, জহরলাল হাজারী এসময় মঞ্চে ছিলেন। সভায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন। এর মধ্যেই আনজুমান আরা বেগম সভাস্থলে পৌঁছান। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত রুমকি সেনগুপ্ত সেখানে ছিলেন না।
সভাস্থলে পৌঁছেই আনজুমান আরা বেগম মঞ্চে উঠে পড়েন। তখন চন্দন ধর ও জহরলাল হাজারী প্রতিবাদ করেন এবং তাকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন। আনজুমান আরা তাদের সঙ্গে প্রথমে তর্কে জড়ান। মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মঞ্চে বসা থাকলে এসময় নিশ্চুপ ছিলেন বলে নেতারা জানিয়েছেন।
মঞ্চে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে পরে নেমে যান আনজুমান আরা বেগম। এরপর সভাস্থল থেকেই বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রথমে এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও পরে আ জ ম নাছির উদ্দীন সভায় যোগ দেন।
জানতে চাইলে নগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর সারাবাংলাকে বলেন, ‘উনি (আনজুমান আরা বেগম) আওয়ামী লীগের প্রার্থী নন। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে প্রার্থী হয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় এবং মহানগর আওয়ামী লীগের কঠোর অবস্থান আছে। উনি ওই এলাকায় ক্যাম্পেইন করছিলেন। হঠাৎ সভায় ঢুকে মঞ্চে উঠে যান। তখন প্রথমে জহরলাল প্রতিবাদ করেছে। এরপর আমি বলেছি-আপনি দয়া করে নেমে যান। পরে উনি চলে গেছেন।’
জানতে চাইলে আনজুমান আরা বেগম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি বারবার বলেছি- আমি নৌকা মার্কার জন্য ভোট চাইতে এসেছি। মাহতাব ভাই মঞ্চে ছিলেন। উনি কিছু বলেননি। কিন্তু চন্দন দাদা এবং জহরলাল ভাই আমার কোনো কথাই শোনেননি। উনারা বারবার আমাকে নেমে যাবার জন্য চাপ দেন। তখন আমি বলেছি- দলের সমর্থন না পেয়ে প্রার্থী হয়েছি বলে কি আমার নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ারও অধিকার নেই? আমি ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, তিনবার কাউন্সিলর ছিলাম। আমি অপমানবোধ করে নেমে যাই।’
সারাবাংলা/আরডি/এমআই