অবৈধ মোবাইল ফোন নিবন্ধনের আওতায় আনা জরুরি: টিক্যাব
৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৩২
ঢাকা: দেশের জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধ সব মোবাইল ফোন নিবন্ধনের আওতায় আনা জরুরি বলে দাবি করেছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)। শনিবার (৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে টিক্যাব’র আহ্বায়ক মো. মুর্শিদুল হক বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান গণমাধ্যমের কাছে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম আগামী ১ জুলাই থেকে শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আমরা বিটিআরসির এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। এতে অবৈধভাবে আমদানি, চুরি ও নকল নিম্নমানের মোবাইল ফোন প্রতিরোধ সম্ভব হবে। গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে ও মোবাইল ফোনের হিসাবও রাখা যাবে। আমাদের বাজারে প্রতিবছর ২৫ থেকে ৩০ ভাগ মোবাইল ফোন অবৈধভাবে চলে আসে। এর ফলে সরকার বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারায়। নিবন্ধন পদ্ধতি চালু হলে রাজস্ব ফাঁকি ঠেকানো সম্ভব হবে। মোবাইল ফোনের মালিকানা নিশ্চিত না হওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরাধীরা এর সুফল ভোগ করে। এক্ষেত্রে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের এ কার্যক্রম সর্বক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রমাণিত হবে।’
বর্তমানে গ্রাহকের হাতে থাকা সচল অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ না করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপত্তি তুলে মুর্শিদুল হক বলেন, ‘বিটিআরসি এক্ষেত্রে গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে পারে। সে সময়ের মধ্যে গ্রাহকরা তাদের হাতে থাকা ফোনটির নিবন্ধন করে নির্বিঘ্নে চালাতে পারবে। অন্যথায় এর ফাঁক-ফোকর দিয়ে অবাধে অবৈধ মোবাইল ফোন সচল থাকবে, হুমকির মুখে পড়বে জননিরাপত্তা। নিবন্ধনের সুফল আমরা পুরোপুরি পাব না।’
টিক্যাব আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘বর্তমানে টেলিযোগাযোগ খাতের গ্রাহক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের বড় একটি অংশ গ্রামীণ ও স্বল্পশিক্ষিত। তাদের জন্য নিবন্ধন পদ্ধতিকে যথাযথভাবে সহজ ভাষায় তুলে ধরতে হবে। পুরোনো মোবাইল ফোন পুনরায় বিক্রি ও বিদেশ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া ফোন নিবন্ধনের বিষয়ে সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি একান্ত জরুরি।